জগন্নাথের পান আসক্তি হলেও সেবায়তদের ‘না’ পুরীতে

কটক, ১৬ নভেম্বর– ভক্তদের পোশাক থেকে এবার সেবায়েতদের আচরণে নয়া নিয়মের পথে পুরীর জগন্নাথ মন্দির কর্তৃপক্ষ৷ আগামী বছরের গোড়া থেকে পুরীর শ্রী মন্দিরে ঘুরে ঘুরে পান, গুটখা সেবনও চলবে না বলে এ বার নির্দেশ জারি করা হল৷ বুধবার জগন্নাথ মন্দিরের মুখ্য প্রশাসক, উৎকল প্রশাসন নিযুক্ত আইএএস-কর্তা রাজনকুমার দাস এ কথা জানিয়েছেন৷ তবে শুধু সেবায়েতদের পান-গুটখাই নয় মন্দির কর্তৃপক্ষের এবার তীক্ষ্ণ দৃষ্টি৷ নিষিদ্ধের তালিকায় জুড়তে চলেছে পলিথিন প্যাকেট, বাইরে থেকে আনা রান্না করা খাবারও৷
নতুন নিয়ম খাতায়-কলমে ১ জানুয়ারি থেকে চালু হওয়ার কথা বলা হলেও মন্দির কর্তৃপক্ষ চান, এখনই মন্দির চত্বরে পান, গুটখার নেশা করা বন্ধ হোক৷ ইতিমধ্যে মন্দিরে দর্শনার্থীদের জন্য উপযুক্ত পোশাক পরার বিধি চালু হবে বলা হয়েছিল৷ শুধুমাত্র মৌখিক নির্দেশেই সেই পরিকল্পনায় ভাল সাড়া মিলেছে বলে মন্দির কর্তৃপক্ষের দাবি৷ এমনিতে জগন্নাথের সেবায় সারা দিনে দফায় দফায় পান সেজে দেওয়ার রীতি চালু আছে৷ কিন্ত্ত তাই বলে সেবায়েতরাও ‘পান-দোষ’ যুক্ত হবেন তা মানতে নারাজ মন্দির প্রশাসন৷ বিষয়টি মানছেন মন্দিরের প্রতিহারী, বংশানুক্রমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পরিবারের কুলপান্ডা রঘুনাথ গোছিকর৷ তিনি বলছেন, ‘গুটখা থাক না-থাক, মুখে পান নিয়ে প্রভু জগন্নাথের সেবা কাজ শোভন নয়৷ মন্দিরে ঢুকতে গেলে হাত, পা ধোয়ার মতোই মুখও পরিষ্কার রাখা উচিত৷ সাধারণ দর্শনার্থী থেকে সেবায়েত, সবার জন্য এই নিয়ম প্রযোজ্য৷’
এর আগে দর্শনার্থীদের ফাটা জিনস, হাফপ্যান্ট, হাতখোলা পোশাকে ‘না’ করা হয়েছিল৷ জগন্নাথদেবের জন্য অনেকে অন্নদান করতে চাল নিয়ে আসেন৷ তার থেকেও কখনও নিরাপত্তার সমস্যা দেখা যায়৷ মন্দিরের রীতি অনুযায়ী সেদ্ধ চাল নিয়েও অনেকে ঢোকেন৷ তা নিষিদ্ধ করা হচ্ছে না৷ কিন্ত্ত মন্দিরে ব্রাহ্মণভোজনের ঝকমারি এড়ানোরই পক্ষপাতী মন্দির কর্তৃপক্ষ৷ তাই রান্না খাবার নিয়ে ঢুকতেও ভক্তদের বিরত থাকতে বলা হচ্ছে৷