প্রধান বিচারপতি উমর আতা বান্দিয়ালের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ গতকাল ২-১ ব্যবধানে এর চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করেন। অবসরে যাওয়ার আগে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে ঘোষিত এই রায়ে সংশোধনীর কারণে বন্ধ হওয়া দুর্নীতি মামলা সচল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই রায়ের ফলে সরকারি কর্মকর্তাদের দুর্নীতির অভিযোগেরও বিচারের পথ প্রশস্ত হলো।
পূর্বে দুর্নীতিবিরোধী আইনের সংশোধনের মাধ্যমে পাকিস্তানের দুর্নীতি বিরোধী কার্যকলাপ তদারককারী সংস্থা ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরো বা ন্যাবের কার্যপরিধির ওপর লাগাম পরানো হয়েছিল। এতে বলা হয়, ন্যাব শুধু ৫০ কোটির নিচের দুর্নীতিমূলক অপরাধ তদন্ত করতে পারবে। ৫৩টি শুনানি শেষে গতকালের রায়ে বলা হয়, ন্যাবের কার্যপরিধি সংকীর্ণ করে ফেলার পর যেসব মামলা তুলে নেওয়া হয়, তা আবার চালু করতে হবে। দুর্নীতিমূলক অপরাধের বিচারের জন্য গঠিত অ্যাকাউন্টেবিলিটি আদালত সংশোধনীর আলোকে যেসব রায় দিয়েছিলেন, তাও বাতিল করেন সুপ্রিম কোর্ট।
২০২২ সালের জুনে ইমরান খান দুর্নীতিবিরোধী আইনের অধীনে গঠিত ন্যাব অধ্যাদেশের সংশোধনীকে সর্বোচ্চ আদালতে চ্যালেঞ্জ করেন। সংশোধনীতে ৫০ কোটি টাকার বেশি দুর্নীতির ক্ষেত্রে ন্যাবের তদন্তের ক্ষমতা সীমিতকরণ, ন্যাব চেয়ারম্যান ও কৌঁসুলিদের মেয়াদ কমিয়ে আনা এবং ঝুলে থাকা অভিযোগ তদন্ত ও বিচার অন্য জায়গায় হস্তান্তরসহ নানা বিতর্কিত বিধান যুক্ত করা হয়। ইমরান তখন দাবি করেছিলেন, মূলত কিছু প্রভাবশালী দুর্নীতিবাজ রাজনীতিককে সুবিধা দিতেই ওই সব সংশোধনী আনা হয়।