ইসলামাবাদ, ১৫ সেপ্টেম্বর– ঋণজর্জর পাকিস্তানে না খেয়ে মরার অবস্থা জনগণের। ভেঙে পড়েছে দেশের স্বাস্থ্য থেকে শিক্ষা। হু-হু করে বাড়ছে পণ্যসামগ্রীর দাম। বিশ্বের কাছে ঋণের পরিমান পাহাড়সম। অথচ, সেই পাকিস্তানী কিনা পারমাণবিক অস্ত্র মজুত করার সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১৭০। ২০২৫ সালের মধ্যেই তা বেড়ে হতে পারে ২০০! এমনটাই দাবি মার্কিন শীর্ষ পারমাণবিক বিজ্ঞানীদের।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে জানা যাচ্ছে, সম্প্রতি মার্কিন বিজ্ঞানীদের বুলেটিনে এমনই দাবির কথা প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে পরিষ্কার বলা হয়েছে, সম্ভবত পাকিস্তানের কাছে মোটামুটি ১৭০টির মতো পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে। ১৯৯৯ সালে মার্কিন প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থার তরফে মনে করা হয়েছিল, ২০২০ সালের মধ্যে পাক পারমাণবিক যুদ্ধাস্ত্রের সংখ্যা ৬০ থেকে ৮০ হতে পারে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে সংখ্যাটা অনেকটাই বেশি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
উল্লেখ্য, এবছরের শুরুতে প্রাক্তন মার্কিন বিদেশসচিব মাইক পম্পেও দাবি করেছিলেন, ২০১৯ সালে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে পারমাণবিক যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। ২০১৯ সালে আকাশপথে পাকিস্তানের হামলা আটকাতে সেদেশের আকাশসীমায় ঢুকে শত্রুদের নিকেশ করে ভারত। বিমান ভেঙে পড়ে পাক সেনার হাতে আটক হন বায়ুসেনা উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমান। পম্পেওর দাবি, এই ঘটনার পরেই পরমাণু যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে শুরু করে দুই দেশ। অবশেষে মার্কিন মধ্যস্ততার ফলে দুই দেশ যুদ্ধের মুখ থেকে ফিরে আসে।
নিজের দেশে যুবসমাজকে শিক্ষা চাকরি দেওয়ার পরিবর্তে পাক সরকার বরাবরই জঙ্গি গড়ে ভারতের বিরুদ্ধে ব্যবহার করে এসেছে। এ সত্য গোটা বিশ্বের কাছে অজানা নয়। সেই কারণেই পাকিস্তান ধূসর তালিকায় থেকেছে বহু বছর। তারপর নিজের দেশে অন্তর্কলহ তো লেগেই আছে। এ অবস্থায় পাকিস্তানের পারমাণবিক যুদ্ধাস্ত্রের এই বহর যে বিশ্বের কাছে খুব ভালো ছবি রাখবে না তা বলার অবকাশ রাখে না।