ইসলামাবাদ, ১০ জুন– এশিয়ার কোনও দেশেরই পরিস্থিতি এমন নয়। আকাশ ছুঁয়েছে দ্রব্যমূল্য। গত এক বছরে সেদেশের মুদ্রাস্ফীতি বেড়েছে ৩৭.৯৭ শতাংশ। রাষ্ট্রসংঘের আশঙ্কা আর তিন মাসেই দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে ইসলামাবাদে। কিছুদিনেই পাকিস্তানের পরিস্থিতি ছাড়িয়ে যাবে শ্রীলঙ্কাকে। কিন্তু মজার বিষয় হল যে দেশে এহেন পরিস্থিতি সে প্রতিরক্ষা খাতে বিপুল অর্থ বরাদ্দ করে কি করে। পাক একলাফে খরচ ১৫.৫ শতাংশ বাড়িয়ে ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের বাজেটে ১.৮ ট্রিলিয়ন পাকিস্তানি টাকা তথা ১ লক্ষ ৮০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হল প্রতিরক্ষা খাতে।
পাকিস্তানের আর্থিক বৃদ্ধির হার ৩.৫ শতাংশ হবে বলে দাবি করেছেন পাক অর্থমন্ত্রী ইশাক দার। সেই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, এই বাজেটকে নির্বাচনী বাজেট হিসেবে দেখা উচিত নয়। বরং একে দেখতে হবে দায়িত্বশীল বাজেট হিসেবেই। আসলে এই বছরই পাকিস্তানে নির্বাচন। তাই অর্থমন্ত্রী ইঙ্গিত দিলেন, সেদিকে তাকিয়ে জনমোহিনী বাজেট তৈরির দিকে হাঁটেননি তাঁরা। বরং নিজেদের তৈরি বাজেটকে উন্নয়নমূলক বাজেট হিসেবে দেখাতেই চেয়েছেন পাক মন্ত্রী।
কিন্তু পরিস্থিতি যা, তাতে প্রতিরক্ষা খাতে এত বিপুল অর্থ বরাদ্দ করাটা আদৌ যুক্তিযুক্ত নয় বলেই দাবি ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের। দেখা গিয়েছে, কেবল মাত্র ঋণ শোধের ক্ষেত্রে বরাদ্দ অর্থই প্রতিরক্ষা খাতের থেকে বেশি।
পাকিস্তানের অর্থনীতি কার্যতই ধুঁকছে। সম্প্রতি জানা গিয়েছে, বিদেশি মুদ্রার অভাবে জ্বালানি কিনতে পারছে না পাকিস্তান। তার জেরে ব্যাহত হচ্ছে বিদ্যুৎ উৎপাদন। ফলে দেশজুড়ে ব্যাপক বিদ্যুৎ সংকট দেখা দিচ্ছে। সেই সঙ্গে ব্যাপক খাদ্য সংকটের মুখেও পড়েছে ইসলামাবাদ। রাষ্ট্রসংঘের অন্তর্গত দু’টি সংস্থার তরফে এমনই আশঙ্কা করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতেও বাজেটে প্রতিরক্ষা খাতে খরচ ১৫.৫ শতাংশ বাড়াল শাহবাজ শরিফ প্রশাসন।