• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

নিজের ও পরিবারের কয়েকশো কোটির সম্পত্তি নিয়ে কাঠগড়ায় পাক সেনাপ্রধান বাজওয়া

ইসলামাবাদ, ২৩ নভেম্বর– মাথা থেকে পা সবাই যেন দুর্নীতিতে ডুবে। কথা হচ্ছে পাকিস্তানকে নিয়ে। এবার কাঠগড়ায় খোদ পাক সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া। নিজের ও পরিবারের বাকিদের অকুত সম্পত্তি নিয়ে কাঠগড়ায় তিনি।  সম্প্রতি পাক সেনাপ্রধান বাজওয়া এবং তাঁর পরিবারকে নিয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে পাকিস্তানের ‘ফ্যাক্টফোকাস’ নামের একটি ওয়েবসাইট। নিজেদের তথ্যভিত্তিক তদন্তমূলক ডিজিটাল সংবাদমাধ্যম হিসেবে দাবি করে

ইসলামাবাদ, ২৩ নভেম্বর– মাথা থেকে পা সবাই যেন দুর্নীতিতে ডুবে। কথা হচ্ছে পাকিস্তানকে নিয়ে। এবার কাঠগড়ায় খোদ পাক সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া। নিজের ও পরিবারের বাকিদের অকুত সম্পত্তি নিয়ে কাঠগড়ায় তিনি। 

সম্প্রতি পাক সেনাপ্রধান বাজওয়া এবং তাঁর পরিবারকে নিয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে পাকিস্তানের ‘ফ্যাক্টফোকাস’ নামের একটি ওয়েবসাইট। নিজেদের তথ্যভিত্তিক তদন্তমূলক ডিজিটাল সংবাদমাধ্যম হিসেবে দাবি করে তারা। তাদেরই একটি প্রতিবেদনে জেনারেল বাজওয়া  ও তাঁর পরিবারের সম্পদের পরিমাণ তুলে ধরা হয়েছে। বলা হয়েছে, ২০১৩ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে বাজওয়া ও তাঁর পরিবারের ট্যাক্স সংক্রান্ত তথ্য থেকে জানা যাচ্ছে, দেশে ও বিদেশে পাক সেনপ্রধানের প্রায় ১২.৭ বিলিয়ন বা প্রায় ১৩০০ কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে।

‘ফ্যাক্টফোকাস’-এর রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, জেনারেল বাজওয়ার স্ত্রী আয়েশা আমজাদের সম্পত্তি বৃদ্ধির হার চোখে পড়ার মতো। ২০১৬ সালে প্রায় শূন্য থেকে ছয় বছরের মধ্যে আয়েশার সম্পত্তি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২০ কোটি টাকা। তবে এর মধ্যে সেনার তরফে বাজওয়াকে দেওয়া জমিবাড়ির উল্লেখ নেই। তার দামও নেই এই রিপোর্টে। তা বাদেই বাজওয়ার পরিবারের সম্পত্তি কয়েক গুণ বেড়েছে বলে দাবি পোর্টালটির। তারা আরও জানিয়েছে, ২০১৮ সালের অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে জেনারেল বাজওয়ার পুত্রবধূ মাহনুর সাবিরের সম্পত্তির পরিমাণ ছিল শূন্য। ২০১৮ সালের ২ নভেম্বর তা বেড়ে দাঁড়ায় ১২৭ কোটি ১০ লক্ষ টাকা।

সংবাদ পোর্টালটির দাবি, ২০১৬ সালে মাহনুরের বোন হামলা নাসিরের সম্পত্তির খাতা প্রায় খালি ছিল। ২০১৭ সালে তা বেড়ে একশো কোটিরও বেশি দাঁড়ায়। ২০১৩ সালে জেনারেল বাজওয়ার ছেলের শ্বশুর সাবির হামিদের আয়কর রিটার্ন ছিল ১০ লক্ষেরও কম। ওই ওয়েবসাইটের দাবি, পরের কয়েক বছরে হামিদেরও সম্পত্তির পরিমাণ হয়েছে কয়েকশো কোটি। এই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসতেই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী ইশাক দার। কীভাবে সেনপ্রধান ও তাঁর পরিবারের সম্পত্তির পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে, তানিয়ে উঠছে প্রশ্ন।