দিল্লি, ২৪ ডিসেম্বর– তাহলে কি সত্যিই করোনা ফের গ্রাস করতে চলেছে আপামর জনগণকে। ২০২০ র সেই করোনার ভয়াবহ স্মৃতি কি ফের ফিরে আসতে চলেছে ? তাহলে কি করোনা সংক্রমণ বাড়াবাড়ি পর্যায়ে যেতে পারে, এমন কোনও আগাম আঁচ পাওয়া যাচ্ছে! কেন্দ্র সরকারের বর্তমান এক নির্দেশিকা সেই আশংকাকেই যেন সিলমোহর দিল। পর্যাপ্ত অক্সিজেনের জোগান নিশ্চিত করতে সব রাজ্যকে নির্দেশ দিল কেন্দ্রীয় সরকার। কোভিডের ক্রমবর্ধমান গ্রাফের মুখে এটিই সাম্প্রতিকতম নির্দেশ কেন্দ্রের।
ওমিক্রন প্রজাতির নতুন সাবভ্যারিয়েন্ট বিএফ.৭ চিনে ছড়াচ্ছে হু হু করে। গতকাল, শুক্রবারই সে দেশে পৌনে চার কোটি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যুমিছিলও বাড়ছে দ্রুত। এই পরিস্থিতিতে, এ দেশেও চার জন রোগীর খোঁজ মিলেছে, যাঁদের শরীরে রয়েছে বিএফ.৭ সংক্রমণ। এর পরেই জরুরি বৈঠক করার পরে, নতুন করে একাধিক কোভিড বিধি জারি করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
আজ, শনিবার রাজ্যগুলিকে ফের নতুন কয়েক দফার অ্যাডভাইসরি পাঠাল স্বাস্থ্য মন্ত্রক। তাতেই উল্লেখ করা হয়েছে, এখন থেকেই যেন অক্সিজেনের জোগানের বিষয়টি নিশ্চিত করে সব রাজ্যের সরকার।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডবিয়ার নতুন এই নির্দেশিকা অনুসারে
- এখন থেকে চিন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, হংকং, থাইল্যান্ড থেকে ভারতে আসা সমস্ত যাত্রীর কোভিড নেগেটিভ সার্টিফিকেট থাকা আবশ্যক।
- যদি আসার পরে তাঁদের কোনও উপসর্গ দেখা দেয় বা কোভিড পজিটিভ রিপোর্ট আসে, তাহলে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।
- এ দেশে যদিও কোভিডের গ্রাফ এখনও নিম্নমুখী, তবু ভবিষ্যতের কথা ভেবে প্রস্তুত থাকতে হবে সব রাজ্যকে। সবরকম মেডিক্যাল পরিকাঠামো তৈরি রাখাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
- গত বছর কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ে বড়সড় ঘাটতি দেখা গিয়েছিল অক্সিজেনের। এবার যেন তা না হয়। অক্সিজেনের জোগান নিরবচ্ছিন্ন রাখতে অক্সিজেন প্ল্যান্টগুলিকে সক্রিয় রাখতে হবে। নিয়মিত মক ড্রিল চালিয়েও তাদের পরীক্ষা করে দেখতে হবে।
- লিকুইড মেডিক্যাল অক্সিজেন অর্থাত সিলিন্ডারবন্দি অক্সিজেনের জোগানও অব্যাহত রাখতে হবে। সিলিন্ডারগুলির রিফিলিং কীভাবে হবে, তা নিশ্চিত করে রাখতে হবে আগে থেকে।