এদিকে শুক্রবার ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু গাজার প্যালেস্তেনীয় নাগরিকদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এলাকা ছেড়ে দক্ষিণ প্রান্তে চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়ে‘চরম সময়সীমা’ ঘোষণা করার পর, অসামরিক বিমান থেকে প্রচারপত্র ফেলতে শুরু করে ইজ়রায়েলি বায়ুসেনা। তার পরেই হামলা এড়াতে বাড়ি ছাড়তে শুরু করেছেন উত্তর এবং মধ্য গাজ়ার বাসিন্দারা। প্যালেস্টাইনের এক সাংবাদিক একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন , যেখানে দেখা গিয়েছে, গাড়ির মাথায় মালপত্র চাপিয়ে গাজ়া ছেড়ে চলে যাচ্ছেন বহু মানুষ। যদিও তাঁরা কোথায় যাচ্ছেন তা জানা যায়নি। ইজরায়েলের বেঁধে দেওয়া ২৪ ঘণ্টার ‘চরম সময়সীমা’ মেনে প্রায় গাজ়ার অধিকাংশ বসবাসকারী এখন বিকল্প বাসস্থান খুঁজতে রাস্তায় নেমে পড়েছেন। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন অনুসারে, বৃহস্পতিবার রাতেই ইজ়রায়েল সেনা রাষ্ট্রপুঞ্জকে জানিয়েছে যে, তারা ২৩ লক্ষ প্যালেস্তেনীয় নাগরিকের আবাসভূমি গাজ়ার অন্তত ১০ লক্ষ মানুষকে সরে যাওয়ার কথা বলেছে। কিন্তু ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তা অসম্ভব বলে প্রকাশ্যেই জানিয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জ। কিন্তু প্রাণের ভয়ে গাজ়া ছেড়ে যাচ্ছেন বেশিরভাগ মানুষ। এই পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রপুঞ্জ শনিবার এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘অবিলম্বে গাজ়ায় মানবিক সাহায্য পৌঁছনো প্রয়োজন’।
গত ৭ অক্টোবর ইজ়রায়েলে আচমকা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। তার যোগ্য জবাব দিতে বদ্ধপরিকর বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু সরকার। তারা জানিয়েছে, গাজ়ার সাধারণ নাগরিককে মানবঢাল করছে হামাস। তাঁদের বাড়িতে লুকিয়ে থাকছে। এই হামাসকে নিকেশ করার জন্য আগামী দিনে যা করা দরকার, সব করা হবে। হামাস বাহিনীকে ‘একঘরে’ করে সেনা অভিযান চালাতে তাই গাজ়া জনশূন্য করতে চায় ইজরায়েল। ইজরায়েলের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তারা গাজা ও তার আশেপাশের এলাকা , যেখানে হামাসদের অগোপন আস্তানা রয়েছে , সেখানে আঘাত হানবে। গাজা সীমান্তে মোতায়েন করা হয়েছে ইজরায়েলি সেনা।