বিরোধী বৈঠকে শারদের জল্পনা, বেঙ্গালুরুতে সোনিয়া-মমতা-অভিষেক

দিল্লি, ১৭ জুলাই– সোমবার পাটনার পর ফের দু’দিনের বৈঠকে বেঙ্গলুরুতে একজোট হলেন বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতারা। সেই বৈঠক থেকেই আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু বলেই ধরে নিচ্ছেন রাজনীতিবিদরা। তবে নরেন্দ্র মোদি সরকার হটাও লক্ষ নিয়ে বিরোধীদের ডাকা সেই আলোচনা সভায় এবারের বৈঠকে যেমন নতুন মুখ সোনিয়া তেমনই আবার সোমবার থাকছেন না এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ার। তবে তিনি একেবারে থাকছেন না এমন কোনো কথা নেই কিন্তু। জানা গিয়েছে, আসলে সোমবার না থাকলেও মঙ্গলবার তিনি যোগ দিতে পারেন ওই বৈঠকে। পাটনায় বিরোধীদের প্রথম বৈঠকে ১৭টি রাজনৈতিক দল যোগ দিলেও এবার বেঙ্গালুরুর এই বৈঠকে অংশগ্রহণকারী দলের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে প্রায় ২৪টি বলেই খবর ।

শরদ পওয়ারের এই যোগ-অনিশ্চয়তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে ফের। কেন তিনি আজই ওই বৈঠকে গেলেন না, সে বিষয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। রাজনৈতিক মহলের একাংশের দাবি, রবিবার শরদ পওয়ারের সঙ্গে দেখা করেছিলেন তাঁর ভাইপো অজিত পওয়ার । সেই বৈঠকের পর এনসিপি নেতা প্রফুল্ল প্যাটেল জানান, ”শরদ পাওয়ার দলের প্রধান। তিনি আমাদের অনুপ্রেরণা। এনসিপিকে একজোট রাখার বিষয়টি ভেবে দেখার অনুরোধ করেছি।” যদিও এই ‘অনুরোধে’ সাড়া দেননি শরদ পওয়ার জানা গিয়েছে এমনও। মহারাষ্ট্রের এই নয়া জল্পনা উসকে দিয়েছে একাধিক বিষয়ও। শরদের গতিবিধি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন কেউ কেউ। ঠিক এই আবহেই তাঁর বিরোধী বৈঠকে প্রথমদিন না যাওয়া বিতর্ক তৈরি করেছে ফের।

প্রসঙ্গত, মোদি বিরোধী জোট গড়ার ক্ষেত্রে উদ্যোগী হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, শরদ পওয়াররা। বিজেপির দাবি অনুযায়ী, ‘ছন্নছাড়া বিরোধী জোটে’র একত্রীকরণে বারবার সচেষ্ট হয়েছেন এই নেতা। যদিও প্রথমে জানা গিয়েছিল শারীরিক অসুস্থতার জন্য সোমবারের বিরোধী নৈশভোজে অংশ নেবেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।কিন্তু পরে জানা যায়,  বেঙ্গালুরুর বৈঠকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সোমবারই যোগ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতা বিমানবন্দর থেকে বেঙ্গালুরুর পৌঁছে সোনিয়া গান্ধির সঙ্গে সাক্ষাতও করেন। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোমবারের নৈশভোজে নিয়ে ধোঁয়াশা থেকেই যায়।


উল্লেখ্য, ২০২৪ কে পাখির চোখ করে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার হটাও স্লোগান তুলে ২৩ জুন পাটনায় মিলিত হয় বিরোধী জোট। বৈঠকের আহ্বায়ক ছিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার। মোদি বিরোধী এই মেগা বৈঠকে যোগ দেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় সঙ্গে অভিষেক বন্দোপাধ্যায়, কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা রাহুল গান্ধি, কংগ্রেসের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে, তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী তথা ডিএমকে নেতা এমকে স্তালিন, এনসিপি প্রধান শারদ পাওয়ার, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান,  ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী তথা জেএমএম প্রধান হেমন্ত সোরেন, জম্মু কাশ্মীরের পিডিএফ প্রধান মেহবুবা মুফতি, সিপিএমের সীতারাম ইয়েচুরি।

তবে পাটনার ওই বৈঠকে সেই সময় যেমন উপস্থিত ছিলেন না বিএসপির মায়াবতী, বিজেডির নবীন পট্টনায়ক, বিআরএসের কে চন্দ্রশেখর রায়, ওয়াইএসআরসিপির জগমোহন রেড্ডি, দ্বিতীয় বৈঠকেও তারা গরহাজিরই ছিলেন।