কলকাতা, ১৮ জুলাই – প্রবীণ কংগ্রেস নেতা তথা কেরলের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওম্মেন চান্ডি প্রয়াত হলেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর। মঙ্গলবার ভোরে তাঁর মৃত্যু হয়। চান্ডির মৃত্যুর খবর জানান কেরল প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি কে সুধাকরণ। এক টুইট বার্তায় প্রয়াত নেতার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সুধাকরণ লেখেন, ‘প্রেমের শক্তিতে বিশ্বজয়ী রাজার গল্পের মর্মান্তিক সমাপ্তি ঘটেছে। ওম্মেন চান্ডির মতো একজন কিংবদন্তিকে হারিয়ে আমি অত্যন্ত শোকাহত। তাঁর স্মৃতি চিরকাল আমাদের মনে থাকবে। আপনার আত্মার শান্তি কামনা করছি। ‘
কেরালার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করে টুইট করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। টুইট-এ তিনি লেখেন, ‘ একজন সত্যিকারের রাষ্ট্রনায়ক ছিলেন তিনি। এমন একটি উত্তরাধিকার রেখে গেছেন, যা প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে। তাঁর আত্মার চিরশান্তি কামনা করি। ‘
দু’বার কেরলের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন এই কংগ্রেস নেতা। দীর্ঘদিন ধরেই ক্যানসারে ভুগছিলেন তিনি । হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছিল।কংগ্রেস নেতার মৃত্যুতে মঙ্গলবার রাজ্য জুড়ে ছুটি ঘোষণা করেছে কেরল সরকার। দু’দিনের জন্য শোক পালন করবে রাজ্য।
জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে ক্যানসারে ভুগছিলেন কংগ্রেস নেতা। চিকিৎসা করাতেই বেঙ্গালুরুর হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছিল চান্ডিকে। সেখানেই মঙ্গলবার ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয়।
কেরলের পুত্থুপপল্লি কেন্দ্র থেকে প্রথমবার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন তিনি। প্রায় ৫০ বছর ধরে একাধিকবার এই কেন্দ্র থেকে বিধায়ক হিসাবে নির্বাচিত হন। সবচেয়ে বেশি বার বিধায়ক হওয়ার রেকর্ডও রয়েছে তাঁর দখলে। ২০০৪ সালে প্রথমবার কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পদে বসেন তিনি। প্রথম দফায় দু’বছরের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হন চান্ডি। পরের বার ২০১১ সালে মুখ্যমন্ত্রী হন। টানা ৫ বছরের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর মেয়াদ পূর্ণ করেন। কেরল বিধানসভার বিরোধী দলনেতা হিসাবেও কাজ করেছেন তিনি। ১৯৭০ থেকে মোট ১২ বার বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হন ওম্মেন চান্ডি। ১৯৭৭ সালে প্রথমবার মন্ত্রী হয়েছিলেন তিনি। কেরলের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সময়ের জন্য বিধায়ক থেকেছেন তিনি। তিনি রাষ্ট্রসংঘের পাবলিক সার্ভিস অ্যাওয়ার্ডও পান।