• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

১২০০ ভারতীয়র ১৪০০ কোটি ‘চিনা ফুটবল’এ হাওয়া

দিল্লি, ১৮ আগস্ট– অনলাইন হোক বা অফলাইনে দুই বেটিংই নিষিদ্ধ দেশে। কিন্তু তাতে কি ? নানা অছিলায়-নানা নামে রমরমা এই ব্যবসা। আর এখন তো সবই ডিজিটাল। নানা অ্যাপ তৈরী করে চলছে বেটিংয়ের খেলা। সেই সব অ্যাপের মাধ্যমে নিয়মিত বেটিং করেন বিভিন্ন অসৎ লোকজন এবং চলে টাকাপয়সার লেনদেন। কিন্তু এই বেটিং-এ যত না মানুষ লাভবান হন

দিল্লি, ১৮ আগস্ট– অনলাইন হোক বা অফলাইনে দুই বেটিংই নিষিদ্ধ দেশে। কিন্তু তাতে কি ? নানা অছিলায়-নানা নামে রমরমা এই ব্যবসা। আর এখন তো সবই ডিজিটাল। নানা অ্যাপ তৈরী করে চলছে বেটিংয়ের খেলা। সেই সব অ্যাপের মাধ্যমে নিয়মিত বেটিং করেন বিভিন্ন অসৎ লোকজন এবং চলে টাকাপয়সার লেনদেন। কিন্তু এই বেটিং-এ যত না মানুষ লাভবান হন তার থেকে বেশি মানুষ হারান সবকিছু। এবার তেমনই এক অ্যাপের লোভে পা দিয়ে ফাঁসলেন ১২০০ ভারতীয়, হারালেন মোট ১৪০০ কোটি টাকা!

জানা গিয়েছে সুদূর চিন থেকে চালানো ওই ভুয়ো ফুটবল বেটিং অ্যাপটি চালাচ্ছিল বিশাল বড় প্রতারকের দল। কিন্তু কিছু বুঝে ওঠার আগেই সর্বস্ব হারালেন হাজারের বেশি ভারতীয়। ৯ দিন ধরে প্রতারিত হওয়ার পরে এখন কপাল চাপড়াচ্ছেন ‘ফুটবলপ্রেমী’ সেই ভারতীয়রা।

জানা গেছে, চিনের শেনজেন প্রদেশের বাসিন্দা উ উয়ানবে নামে এক ব্যক্তি এই অ্যাপ চালাচ্ছিলেন, তিনিই এই প্রতারণা চক্রের ‘মাথা’। ২০২০ থেকে ২০২২ সাল ভারতে এসে ছিলেন তিনি, বিহার এবং গুজরাতের নানা জায়গায় ঘুরেছেন। এর পরে কয়েকজন ভারতীয়র সাহায্যেই ওই সে বেটিং অ্যাপটি চালু করেন।

ভুয়ো অ্যাপটির নাম ‘দানি ডেটা’। সেখানে বেটিং চলত ফুটবল নিয়ে। তাতে প্রায়ই টাকা খোয়াতে শুরু করেন ভারতীয় গ্রাহকরা। প্রতারিতদের প্রায় সকলেই গুজরাত কিংবা উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা বলে জানা গেছে। ২০২২ সালে প্রথম এই অ্যাপ-প্রতারণার কথা সামনে এলে তদন্তে নামে গুজরাত সিআইডি। আগ্রা পুলিশও এই নিয়ে তদন্ত করছিল। শেষমেশ এই প্রতারণার পর্দা ফাঁস হয়।

জানা গিয়েছে, ১৫ বছর থেকে শুরু করে ৭৫ বছর বয়সি– বহু ব্যক্তিই টাকা হারিয়ছেন এই অ্যাপে। প্রতিদিন প্রায় ২০০ কোটি টাকা করে উধাও হয়েছে! মাত্র ৯ দিনের জন্য এই অ্যাপটি সক্রিয় ছিল। তার মধ্যেই মোট ১৪০০ কোটি টাকা লোক ঠকিয়ে নিয়ে নেওয়া হয়।

সিআইডি জানিয়েছে, গুজরাতের ৯ জন বাসিন্দাও এই ঘটনায় জড়িত। প্রতারণার টাকা বিদেশে পাচার করতে ভুয়ো সংস্থাও খোলা হয়েছিল একটি। ২০২২ সালে আইটি আইনে এই ঘটনায় প্রথম মামলা দায়ের করেছিল গুজরাত পুলিশ। গত মার্চে চার্জশিট পেশ হয়েছে এই মামলায়। 

তবে ভুয়ো অ্যাপের কথা সামনে আসার পরও থেমে নেই অভিযুক্ত উয়ানবে। তিনি শেনজেন থেকে এখনও বিভিন্ন অনলাইন প্রতারণা করে চলেছেন। হংকং এবং সিঙ্গাপুরেও প্রতারণার জাল বিছিয়ে কোটি কোটি টাকা ঠকিয়ে চলেছেন তিনি।