উত্তর ২৪ পরগনা,২৬ মে — ব্যারাকপুরের আনন্দপুরী এলাকায় একটি সোনার দোকানে ডাকাতির উদ্দেশে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা । দুষ্কৃতীদের বাধা দেওয়ায় তাদের গুলিতে মৃত্যু হয় দোকানের মালিকের পুত্র নীলাদ্রি সিংহের (২৯)। সেই ঘটনায় সরব বারাকপুর সাংসদ অর্জুন সিংহ। দুই দিনের মাথায় এক জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাঁকে নিজেদের হেফাজতে পেতে চান তদন্তকারীরা। পালিশ সূত্রে জানা যায় , যাকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁর নাম সানি।হত্যাকাণ্ডের পর সিসি ক্যামেরার ছবি দেখে তদন্ত শুরু হয়েছিল। সেই সূত্র ধরেই চিহ্নিত করা হয়েছে সানিকে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। আরও জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে হাওড়ার বাঁকড়া থেকে তাঁকে তুলে নিয়ে আসা হয়েছে। সানি মাথা ন্যাড়া করে চেহারা বদলে আত্মগোপন করার চেষ্টা করেছিল বলেও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর ধৃত সানি কামারহাটি অঞ্চলের বাসিন্দা। পুলিশ সূত্রে খবর, সিসিটিভির সূত্রে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, দুই দুষ্কৃতী দু’টি মোটরবাইকে করে হাওড়া থেকে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ, কাশীপুর হয়ে ডানলপে পৌঁছয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এর আগে সানি চুরির দায়ে ধরা পড়েছিল। ব্যারাকপুর পুরসভার চেয়ারম্যান উত্তম দাস জানিয়েছেন যে, ধৃত সানি মাথার চুল কামিয়ে ন্যাড়া হয়ে আত্মগোপন করেছিল। পুলিশ সিসিটিভির ছবি মিলিয়ে চিহ্নিত করে তাকে। সানির সূত্রে খুনের কারণ খুঁজে বার করার চেষ্টা করছে পুলিশ।
নীলাদ্রির হত্যাকাণ্ডের পর পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেন রাজ্যের শাসকদলেরই নেতা অর্জুন সিংহ। এর পর অর্জুন পুলিশ প্রসঙ্গে মন্তব্য করেন, ‘‘৪০ কেজির ভুঁড়ি নিয়ে হাঁটতেই পারে না। সে আবার অপরাধীদের ধরতে পারে নাকি!’’