সম্প্রতি, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার ও তেজস্বী যাদবের সঙ্গে বৈঠকে জোট বার্তা দেন রাহুল গান্ধি। শুক্রবার ইন্ডিয়া জোট নিয়ে রাহুলের মনোভাব স্পষ্ট করেন দলের সাধারণ সম্পাদক কেসি বেনুগোপাল। জোট প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পদক্ষেপ করল কংগ্রেস হাইকমান্ড। দিল্লি প্রদেশ কংগ্রেসের সঙ্গে আম আদমি পার্টির সম্পর্ক ভাল। সম্প্রতি, দিল্লি আমলা নিয়ন্ত্রণ বিলকে কেন্দ্র করে দু’দলের মধ্যে সম্পর্কের উন্নতি হয়। ফলে আপের সঙ্গে নতুন করে সংঘাতে জড়িয়ে পড়তে নারাজ মল্লিকার্জুন খাড়গে, সোনিয়া গান্ধি, রাহুল গান্ধি। তাই দিল্লি প্রদেশ কমিটির নয়া সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয় আপ-ঘনিষ্ঠ অরবিন্দর সিং লভলিকে।
শনিবার থেকে হায়দরাবাদে শুরু হল কংগ্রেসের কর্মসমিতির দু’দিনের বৈঠক। সূত্রের খবর, প্রথমদিন ইন্ডিয়া জোটে দলের ভূমিকা, অভিন্ন ন্যূনতম কর্মসূচির প্রস্তাব ও জোট প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে দলের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা। সেইসঙ্গে নির্বাচনে পাঁচ রাজ্যের দলের রণকৌশল ও প্রচার পদ্ধতি নিয়েও আলোচনা হবে বলে শনিবারের বৈঠকে। তবে বৈঠকে ইন্ডিয়া জোট নিয়ে দলের ভূমিকা কী হবে, বা সেই সংক্রান্ত কোন সিদ্ধান্ত হবে কিনা , সেই দিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।
বৈঠকের দ্বিতীয় দিন কংগ্রেস হাইকমান্ড ইন্ডিয়া জোট নিয়ে কী বার্তা দেন সেদিকে তাকিয়ে দলের শীর্ষ ও প্রদেশ নেতৃত্ব। কারণ ওইদিন ইন্ডিয়া জোট নিয়ে দলের ভূমিকা ব্যাখ্যা করবেন সোনিয়া, রাহুল ও প্রিয়াঙ্কারা। সূত্রের খবর, ঘনিষ্ঠ মহলে রাহুল গান্ধি বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর একের বিরুদ্ধে এক ফর্মুলাকে মান্যতা দিয়ে রাজ্যস্তরে জোট প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন।
এদিকে কেন ভোপালের সভা শনিবার বাতিল করা হল তার কোনও ব্যাখ্যা দেননি কমলনাথ। রাজস্থান, ছত্তীসগড়ের সঙ্গে মধ্যপ্রদেশেও নভেম্বরে বিধানসভা ভোট হওয়ার কথা। ভোটমুখী রাজ্য হিসাবেই মধ্যপ্রদেশের রাজধানী ভোপালকে বাছা হয়েছিল রাজ্যের বিজেপি সরকার হটানোর ডাক দিতে। কমলনাথ বলেন, এই ব্যাপারে যা বলার কংগ্রেস হাইকমান্ড বলবে। কংগ্রেসের মধ্যপ্রদেশে দায়িত্বপ্রাপ্ত রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা বলেন, কংগ্রেস সভাপতি খাড়্গের সঙ্গে আলোচনা করে সভার জায়গা জানানো হবে।ভোপালের পরিবর্তে অন্য রাজ্যগুলিতে সভা হতে পারে কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। আসলে ইন্ডিয়া’র মঞ্চে থাকবেন ডিএমকে সুপ্রিমো এমকে স্ট্যালিন। সনাতন ধর্ম নিয়ে ডিএমকে’র তৈরি বিতর্ক হাতিয়ার করেছে বিজেপি। এই অবস্থায় নির্বাচনমুখী রাজ্যে সভা করে বিতর্ক চাইছে না কংগ্রেস।
শনিবার কংগ্রেসের সিদ্ধান্ত জানার পর বিজেপি এই ইস্যুতে কংগ্রেসকে উদ্দেশ্য করে তোপ দেগেছে। মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান বলেন, কংগ্রেস ভয় পেয়েছে। সনাতন বিতর্কে মুখ দেখাতে পারছে না পার্টি। তাই ভোপালের সভা বাতিল করা হয়েছে।