• facebook
  • twitter
Thursday, 21 November, 2024

বাদল অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনেও উত্তাল সংসদ,  মুলতুবি দুই কক্ষই 

দিল্লি, ২১ জুলাই –  সংসদের বাদল অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনেও মণিপুর ইস্যুতে উত্তপ্ত হল সংসদ। মণিপুরের পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে জবাব দিতে হবে এই দাবিতে দ্বিতীয় দিনেও বিরোধীদের বিক্ষোভে ফের উত্তাল হয় সংসদের দুই কক্ষ। দফায় দফায় মুলতুবি হয় অধিবেশন। শেষে লোকসভা দিনের মতো মুলতুবি করে দিতে হয়। অধিবেশন শুরুর আগে সরকার পক্ষ দাবি করেছিল মণিপুর

দিল্লি, ২১ জুলাই –  সংসদের বাদল অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনেও মণিপুর ইস্যুতে উত্তপ্ত হল সংসদ। মণিপুরের পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে জবাব দিতে হবে এই দাবিতে দ্বিতীয় দিনেও বিরোধীদের বিক্ষোভে ফের উত্তাল হয় সংসদের দুই কক্ষ। দফায় দফায় মুলতুবি হয় অধিবেশন। শেষে লোকসভা দিনের মতো মুলতুবি করে দিতে হয়।

অধিবেশন শুরুর আগে সরকার পক্ষ দাবি করেছিল মণিপুর নিয়ে আলোচনায় তারা প্রস্তুত। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে দেখা যায় সরকার মণিপুর ইস্যুতে বিস্তারিত আলোচনায় রাজি নয় কেন্দ্র। ২৬৭ ধারায় লোকসভা এবং রাজ্যসভায় সব কর্মসূচি বন্ধ রেখে দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে হাঁটানোর ‘ঘটনা’-সহ মণিপুরের সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার দাবিতে নোটিস দিয়েছিল কংগ্রেস-সহ কয়েকটি বিরোধী দল। কিন্তু তাতে রাজি হয়নি নরেন্দ্র মোদি সরকার। কেন্দ্রীয় সংসদীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী ২৬৭ ধারার পরিবর্তে ১৭৬ ধারায় আলোচনা চেয়েছেন। বিরোধীরা যখন রুল নম্বর ২৬৭ অনুযায়ী বিস্তারিত আলোচনা চাইছেন, তখন সরকার রুল নম্বর ১৭৬ অনুযায়ী সংক্ষেপে আলোচনায় রাজি কেন্দ্র। বিরোধীরা চাইছেন সংসদে এসে বিবৃতি দিন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু এত বড় ইস্যুতেও মোদি সংসদে বলতে রাজি নন।
স্বাভাবিকভাবেই কেন্দ্রের এই অবস্থানে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে বিরোধী শিবির। শুক্রবার অধিবেশন শুরু হতেই সেই অসন্তোষের আঁচ দেখা যায়। একযোগে স্লোগান দেওয়া শুরু করেন কংগ্রেস, ডিএমকে এবং বামপন্থী দলগুলি। বিরোধীরা স্লোগান দেওয়া শুরু করেন, প্রধানমন্ত্রীকে জবাব দিতে হবে। মোদি সংসদে আসুন, মণিপুর নিয়ে জবাব দিন। তাঁদের নিরস্ত করার চেষ্টা করেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। তিনি বলেন, এভাবে কোনও সমস্যার সমাধান হতে পারে না। শুধু আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান সম্ভব। কিন্তু তাতেও বিক্ষোভ থামানো যায়নি।  ফলে প্রথমে ১২ টা পর্যন্ত এবং পরে দিনের মতো লোকসভা মূলতুবি করে দেওয়া হয়। একই ছবি রাজ্যসভাতেও, যার জেরে প্রথমে ১২টা পর্যন্ত এবং পরে আড়াইটে পর্যন্ত রাজ্যসভার অধিবেশন মুলতুবি করে দেওয়া হয়।
সংবিধান বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, ১৭৬ ধারায় শুধুমাত্র তুলনামূলক কম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ‘স্বল্পকালীন আলোচনা’ হয় সংসদে। এতে সংসদের সাধারণ কার্যকলাপ বন্ধ রাখারও প্রয়োজন হয় না। লোকসভার স্পিকার এবং রাজ্যসভার চেয়ারম্যান ২৬৭ ধারায় আলোচনার দাবিতে সায় না দেওয়ায় বিরোধী সাংসদেরা প্রতিবাদ শুরু করেন। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবারেও দিনের মতো মুলতুবি হয়ে যায় সংসদের দুই কক্ষের অধিবেশন।
ফলে পরপর দু’দিন কার্যত অকেজো হয়ে রইল সংসদের দুই কক্ষই। এজন্য বিরোধীদের মনোভাবকেই দায়ী করেছে সরকার। তাঁদের দাবি, বিরোধীরা আলোচনা চায় না, বরং সংসদের অধিবেশন পন্ড করাই তাঁদের উদ্দেশ্য। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল থেকে রাজনাথ সিং সকলেই সমস্বরে দাবি করছেন, সরকার আলোচনায় রাজি। অথচ, বিরোধীদের দাবি মেনে বিস্তারিত আলোচনায় নারাজ সরকার।