• facebook
  • twitter
Wednesday, 30 October, 2024

রাহুলের ভাষণ থেকে আপত্তিকর অংশ বাদ , পক্ষপাতিত্ব স্মৃতির ক্ষেত্রে  

রাহুলের ভাষণ থেকে আপত্তিকর অংশ বাদ , পক্ষপাতিত্ব স্মৃতির ক্ষেত্রে   সংসদে পক্ষপাত স্পিকারের  দিল্লি, ১০ আগস্ট –  অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার সময় নিজের বক্তব্যে  ‘হত্যা’ শব্দটি ব্যবহার করেছিলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধি । তাঁর এই মন্তব্য লোকসভার কার্যবিবরণী থেকে বাদ দিয়ে দেন স্পিকার ওম বিড়লা।  কিন্তু সেই একই শব্দ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি ব্যবহার করলেও

রাহুলের ভাষণ থেকে আপত্তিকর অংশ বাদ , পক্ষপাতিত্ব স্মৃতির ক্ষেত্রে  
সংসদে পক্ষপাত স্পিকারের 

দিল্লি, ১০ আগস্ট –  অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার সময় নিজের বক্তব্যে  ‘হত্যা’ শব্দটি ব্যবহার করেছিলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধি । তাঁর এই মন্তব্য লোকসভার কার্যবিবরণী থেকে বাদ দিয়ে দেন স্পিকার ওম বিড়লা।  কিন্তু সেই একই শব্দ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি ব্যবহার করলেও তাঁকে ছাড় দেওয়া হয়। এই ঘটনাকে সম্পূর্ণভাবে পক্ষপাতিত্ব করা হয়েছে বলে দাবি করেছে কংগ্রেস। এই মর্মে বৃহস্পতিবার স্পিকারকে একসঙ্গে তিনটি চিঠি পাঠিয়েছে কংগ্রেসের লোকসভার সংসদীয় কমিটি। সেই চিঠিতে কংগ্রেস নেতৃত্ব অভিযোগ করেছেন, রাহুলের ব্যবহার করা শব্দ মুছে দেওয়া হয়েছে, অথচ একই শব্দ ব্যবহার করেও পার পেয়ে গেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। স্মৃতির বক্তৃতায় ‘হত্যা’ শব্দটি রেখে দেওয়া হয়েছে লোকসভার কার্যবিবরণীতে।

সেই তিনটি চিঠির প্রথমটিতে রাহুলের বক্তৃতা থেকে ‘হত্যা’ শব্দটি বাদ দেওয়া নিয়ে অভিযোগ করেছে কংগ্রেস সংসদীয় দল। তাদের যুক্তি, রাহুল ওই ‘শব্দ’-র ব্যবহার করে ভারতে গণতন্ত্র হত্যা হয়েছে বলে উল্লেখ করেছিলেন। তাঁর বক্তৃতা থেকে ওই শব্দটি মুছে দিলে বাক্যটি অর্থহীন হয়ে যাবে বলে মনে করেছে কংগ্রেস সংসদীয় কমিটি। তাই তারা স্পিকারকে চিঠি দিয়ে ওই শব্দটি নিয়ে বিবেচনা করার অনুরোধ জানায়। সেই সঙ্গে উল্লেখ করা হয়েছে, ১১৫ (৩) ধারায় স্পিকার কোনও সাংসদের কাছে তাঁর মন্তব্যের ব্যাখ্যা চাইতে পারেন। অর্থাৎ এ ক্ষেত্রে সেই ধারার প্রয়োগ করতে হলে স্পিকারের উচিত রাহুল ও স্মৃতি দু’জনের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া, সে কথাই চিঠিতে স্মরণ করানো হয়েছে।

পাশাপাশি,  কংগ্রেস সংসদীয় কমিটির অভিযোগ সংসদ টিভির বিরুদ্ধে। স্পিকারের কাছে তাদের অভিযোগ,  লোকসভায় অনাস্থা প্রস্তাব আলোচনা সম্প্রচারের ক্ষেত্রে পক্ষপাত করা হয়েছে। রাহুল গান্ধি  মোট ৩৭ মিনিট বক্তৃতা করেছেন। কিন্তু রাহুলের বক্তৃতা চলাকালীন মাত্র ১১ মিনিট তাঁকে দেখানো হয়েছে।  বিরোধী সাংসদের বক্তৃতার সময় সংসদ টিভির ফোকাস ছিল ট্রেজারি বেঞ্চের দিকে ।