• facebook
  • twitter
Sunday, 22 December, 2024

এবার রুশ হিরে ও ধাতু নিষেধাজ্ঞা

কিয়েভ, ১৯ মে — ইউক্রেন যুদ্ধে এবার রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরও সক্রিয় হয়ে উঠল ব্রিটেন। মস্কোর উপর অর্থিক চাপ তৈরি করতে রুশ হিরে ও ধাতু আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে চলেছে লন্ডন। বিশ্লেষকদের একাংশের ধারণা, এবার ইউক্রেনকে কেন্দ্র করে ব্রিটেন ও রাশিয়ার মধ্যে শুরু হয়েছে ‘দ্য গ্রেট গেম’। রয়টার্স সূত্রে খবর, রুশ হিরে ও ধাতুর আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা

কিয়েভ, ১৯ মে — ইউক্রেন যুদ্ধে এবার রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরও সক্রিয় হয়ে উঠল ব্রিটেন। মস্কোর উপর অর্থিক চাপ তৈরি করতে রুশ হিরে ও ধাতু আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে চলেছে লন্ডন। বিশ্লেষকদের একাংশের ধারণা, এবার ইউক্রেনকে কেন্দ্র করে ব্রিটেন ও রাশিয়ার মধ্যে শুরু হয়েছে ‘দ্য গ্রেট গেম’।

রয়টার্স সূত্রে খবর, রুশ হিরে ও ধাতুর আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে চলেছে ডাউনিং স্ট্রিট। দ্রুত এই মর্মে নির্দেশিকা জারি করবেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। মস্কোর উপর আর্থিক চাপ তৈরি করতে আর রাশিয়া থেকে তামা, নিকেল ও অ্যালুমিনিয়ামের মতো ধাতু আর কিনবে না লন্ডন। একই সঙ্গে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও রুশ সেনার নিয়ন্ত্রণে থাকা বেশ কয়েকটি সংস্থা এবং ৮৬ জন ব্যক্তির উপর নিষেধাজ্ঞা চাপাতে চলেছে লন্ডন। এছাড়া, রাশিয়ার উপর চাপ তৈরি করতে জি-৭ গোষ্ঠীতে দরবার করবে সুনাক প্রশাসন বলে খবর। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, আজই জাপানে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে জাপান, আমেরিকা, জার্মানি, ব্রিটেন, ফ্রান্স, কানাডা ও ইটালি নিয়ে তৈরি জি-৭ গোষ্ঠীর সামিট।

উল্লেখ্য, ইউক্রেনকে বিশেষ ধরনের লং-রেঞ্জ স্টর্ম শ্যাডো মিসাইল দিচ্ছে ব্রিটেন। দূরপাল্লার এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলি প্রায় ৩০০ কিলোমিটার পর্যন্ত আঘাত হানতে সক্ষম। গত ইতিমধ্যে এই অস্ত্রের প্রথম দফা পাঠিয়েছে লন্ডন। এই প্রসঙ্গে কয়েকদিন আগে পার্লামেন্টে ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা সচিব বেন ওয়ালেস বলেছিলেন, “রাশিয়াকে এটা মানতেই হবে যে তাদের (আগ্রাসী) কার্যকলাপের জন্যই আজ (ইউক্রেনকে ) এই হাতিয়ার দেওয়া হচ্ছে।”

বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সাম্রাজ্য হারিয়ে রক্তাল্পতায় ভুগছে ব্রিটেন। শুধু তাই নয়, নতুন বিশ্বে নিজের ভূমিকা আজও স্পষ্ট নয় লন্ডনের। কিন্তু এবার সেই জড়তা কাটিয়ে উঠছে ব্রিটানিয়া। ১৮৩০ সালে আফগানিস্তানে আধিপত্য স্থাপন ব্রিটিশ ও রুশ সাম্রাজ্যের যে লড়াই আজ ইতিহাসের পাতায়, তারই পুনরাবৃত্তি যেন এবার ইউক্রেনে ঘটছে।