লখনউ, ২০ মার্চ — সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদবের বিরুদ্ধে এবার মুখ খুললেন বহুজন সমাজ পার্টির নেত্রী মায়াবতী। দিন কয়েক আগে অখিলেশ কলকাতায় এসে দেখা করেছিলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সঙ্গে। তার পরেই অখিলেশ কংগ্রেসকে সমালোচনা করে বিবৃতি দেন। এবার মায়াবতী স্পষ্টই বললেন, অখিলেশের সঙ্গে বিজেপির গোপন আঁতাত রয়েছে।
লোকসভা ভোট যত এগিয়ে আসছে ততই তিক্ততা বাড়ছে সমাজবাদী পার্টি (এসপি) এবং বহুজন সমাজ পার্টি (বিএসপি)-র। ‘মহাগঠবন্ধন’ ভুলে কার্যত পুরনো রাজনৈতিক অবস্থানই ফিরে এসেছেন অখিলেশ যাদব এবং মায়াবতী। যুযুধান প্রতিপক্ষ হিসাবেই পরস্পরের দিকে এগোচ্ছেন উত্তরপ্রদেশের দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।
গত ১২ মার্চ উত্তরপ্রদেশের সীতাপুরে একটি জনসভায় অখিলেশ বলেছিলেন, ‘‘মায়াবতীয় দল বিজেপির বি-টিম হিসাবে কাজ করছে।পাল্টা মায়াবতীর অভিযোগ, অখিলেশের প্রয়াত পিতা তথা সমাজবাদী পার্টির প্রতিষ্ঠাতা মুলায়ম সিংহ যাদব বিজেপির ঘনিষ্ঠ ছিলেন। অখিলেশও বিজেপি নেতৃত্বের আশীর্বাদধন্য বলে দাবি করেন মায়াবতী। কিছু দিন আগে অখিলেশের বৈমাত্রেয় ভাই প্রতীকের স্ত্রী অপর্ণা বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। সে প্রসঙ্গে খোঁচা দিয়ে টুইটারে মায়াবতীর লিখেছেন, ‘‘মুলায়ম পরিকল্পনা করে ২০২৭ সালের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগী আদিত্যনাথকে দিয়ে অখিলেশকে আশীর্বাদ করেছিলেন এবং পরিবারের একজন সদস্যকে বিজেপিতে পাঠিয়েছিলেন।’’
প্রসঙ্গত, বিজেপিকে ঠেকাতে লোকসভা ভোটে মহাগঠবন্ধন করে বিএসপি এবং সমাজবাদী পার্টি (এসপি)। কিন্তু ভোটে শোচনীয় ফল হয় মহাজোটের। মায়াবতীর দল বিএসপি-র ঝুলিতে ১০টি আসন। অখিলেশের দল পায় মাত্র ৫টি। এর পরই মহাজোটে কার্যত ইতি টেনে দিয়েছিলেন মায়াবতী। তাঁর অভিযোগ ছিল, দলিতদের ভোট এসপি পেলেও যাদব ভোট বিএসপির ঝুলিতে আসেনি। কিন্তু ২০২২ সালে উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা ভোটে একা লড়তে গিয়ে মুখ থুবড়ে পড়ে মায়াবতীর দল।