মুম্বাই, ১৪ আগস্ট – বিজেপিতে যোগদান নিয়ে তাঁর অবস্থান স্পষ্ট করলেন এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার। পাওয়ার সাফ জানান, তাঁর দোল কখনওই বিজেপির সঙ্গে যাবে না। পাওয়ার বলেন, আদর্শগত দিক থেকে এনসিপি এবং বিজেপির পথ সম্পূর্ণ পৃথক। এমনকি এই দুটি দলের রাজনৈতিক কাঠামোও সম্পূর্ণ আলাদা বলে জানান এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার।
শনিবার পুণেতে অজিত পওয়ারের সঙ্গে শরদের সাক্ষাতের পর এই গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে। সেই সাক্ষাতের ২৪ ঘণ্টা পর জল্পনার অবসান ঘটালেন এনসিপি প্রধান। নিজের রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট করে পাওয়ার বলেন, ‘‘এনসিপির জাতীয় সভাপতি হিসাবে একটা ব্যাপারে স্পষ্ট করতে চাই। আমার দল কখনওই বিজেপির সঙ্গ নেবে না।’’ একইসঙ্গে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় পাওয়ার জানান, তাঁর কিছু শুভানুধ্যায়ী তাঁকে বিজেপিতে যোগদানের জন্য প্ররোচনা দিচ্ছেন। কিন্তু তিনি নিজের অবস্থান বদল করবেন না।
তিনি বলেন, ‘আমাদের মধ্যে কেউ কেউ ভিন্ন অবস্থান নিয়েছেন। আমাদের কিছু শুভাকাঙ্খী আমাদের মনের মধ্যে কোন পরিবর্তন হতে পারে কিনা তা দেখার চেষ্টা করছেন।’ প্রসঙ্গত, সম্প্রতি শরদ পাওয়ারের ভাইপো অজিত পাওয়ার এবক্স আরো আটজন এনসিপি বিধায়ক বিজেপি-শিবসেনা নেতৃত্বাধীন মহারাষ্ট্র সরকারে যোগ দিয়েছেন। রাজ্যের উপ-মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথও নেন অজিত পাওয়ার। অজিত শিবিরের এনসিপি নেতাদের দল থেকে বহিষ্কার করেন শরদ। পাল্টা পদক্ষেপ করে অজিত শিবির। এনসিপির পতাকা এবং নির্বাচনী প্রতীক ‘ঘড়ি’-র অধিকার দাবি করে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হন অজিত গোষ্ঠী। কমিশনের কাছে একটি হলফনামা দিয়ে ক্যাভিয়েট দাখিল করে শরদ গোষ্ঠী। ভাইপোর ‘বিদ্রোহে’ শরদ জানিয়েছিলেন, তিনি এনসিপি-র পুনর্নির্মাণ করবেন। এনসিপি পরিবারে ভাঙনের পর অবশ্য শরদকেই দলের প্রধান নেতা হিসাবে উল্লেখ করেছেন অজিত। এই পরিস্থিতিতে আগেও শরদের সঙ্গে দেখা করেছেন অজিত। শনিবার ফের কাকা-ভাইপোর সাক্ষাৎ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়।
এদিন হঠাৎই শরদ পাওয়ারের বাড়িতে হাজির হন অজিত। অজিতের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠকের পর পাওয়ারকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ‘আমার ভাইপোর সঙ্গে দেখা করা কি ভুল ? কারও বাসভবনে বৈঠক কিভাবে গোপন বৈঠক হতে পারে ? আমি বাড়িতেই ছিলাম। অজিত আমার ভাইপো। ওর সঙ্গে আমি লুকিয়ে দেখা করিনি। পরিবারের ছোট সদস্যের সঙ্গে দেখা করার মধ্যে অন্যায় কিছু নেই।