রোম, ১ নভেম্বর – সর্বনিম্ন জন্মহারে রেকর্ড গড়ল ইটালি৷ এর আগেও উল্লেখযোগ্য হারে জন্ম নিয়ন্ত্রণে রেকর্ড করে চর্চায় এসেছে ইতালি৷ এবার নিজেদের রেকর্ডই ভেঙে ফেলল এই দেশ৷ এক পরিসংখ্যান বলছে, তিন মাসে একটিও শিশু জন্মায়নি ইটালিতে৷ এমনিতেই ৫ কোটি জনসংখ্যার দেশ, কিন্ত্ত এভাবে চললে আগামী কয়েক দশকে এই দেশের জনসংখ্যা কমে ৪ কোটিতে নেমে আসতে পারে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল৷
ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিক্স বু্যরোর পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে জুন মাস পর্যন্ত যে সংখ্যক শিশু ইটালিতে জন্মেছে, চলতি বছরে সেই তুলনায় সাডে় ৩ হাজার কম শিশুর জন্ম হয়েছে৷ ২০২২ সালে সে দেশের সার্বিক জন্মহার নিয়ে জোর চর্চা হয়৷ ISTAT অনুসারে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুনের মধ্যে যে ফার্টিলিটি রেট দেখা গেছে, তাতে বার্ষিক জন্মের হার আরও অনেকটাই কমে যাবে৷
ISTAT-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, ইটাালিতে মহিলাদের প্রথম সন্তানের জন্ম হয় মায়ের ৩১ বছর বয়সে৷ শুধু তাই নয়, গত বছর এমনও দেখা গিয়েছে, ৪১.৫ শতাংশ শিশুর মা-ই অবিবাহিত৷ এক আন্তর্জাতিক অনলাইন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তিন মাসে ইতালিতে একটিও বাচ্চার জন্ম হয়নি৷ ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সে দেশে ১৫ থেকে ৪৯ বছর বয়সি মেয়ে বা মহিলার সংখ্যা অনেক কম, অর্থাৎ সন্তানধারণে সক্ষম মহিলাদের সংখ্যাই নিম্নমুখী৷ মেয়েদের বয়স ৫০-এর উপরে কিংবা ১৫-এর নীচে৷ ফলে জনসংখ্যার দিকি থেকে এই দেশ সঙ্কটের জায়গায় চলে যাচ্ছে৷ গর্ভাবস্থার সপ্তম মাস থেকে জন্মের পর ২১ বছর বয়স পর্যন্ত প্রতি মাসে নানা আর্থিক সুবিধার কথাও ঘোষণা করা হয়েছে ইটালিতে৷ কিন্ত্ত তারপরেও পরিস্থিতির কোনও বদল আসেনি৷
ISTAT-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত বছর ইতালিতে প্রতি ৭ শিশুর জন্মে ১২ জনের মৃতু্যর সংখ্যা রেকর্ড করা হয়েছে৷ ফলে জনসংখ্যা কমেছে দ্রুত হারে৷
গত বছরই এই বিষয়টিকে জাতীয় জরুরী পরিস্থিতি হিসাবে দেখেছিলেন ইতালির প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি৷