• facebook
  • twitter
Thursday, 21 November, 2024

তেল নেই, স্তব্ধ পাকিস্তানের ট্রেন পরিষেবা

ইসলামাবাদ, ৩০ সেপ্টেম্বর– আর্থিক অনটন, ভেঙে পড়া স্বাস্থ্য, সব মিলিয়ে তথৈবচ অবস্থা পাকিস্তানের। অন্যদিকে কোমর ভেঙে দিয়েছ দুর্নীতি-সন্ত্রাসবাদ। জ্বালানি ও খাদ্যপণ্যের অভাব দেখা দিয়েছে দেশজুড়ে। এহেন সংকট কালে এবার জানা গিয়েছে, তেলের অভাবে প্রায় থমকে গিয়েছে পাকিস্তানের ট্রেন পরিষেবা। ‘দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন’-কে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, একাধিক কারণে পাকিস্তানে রেল পরিষেবা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এর

ইসলামাবাদ, ৩০ সেপ্টেম্বর– আর্থিক অনটন, ভেঙে পড়া স্বাস্থ্য, সব মিলিয়ে তথৈবচ অবস্থা পাকিস্তানের। অন্যদিকে কোমর ভেঙে দিয়েছ দুর্নীতি-সন্ত্রাসবাদ। জ্বালানি ও খাদ্যপণ্যের অভাব দেখা দিয়েছে দেশজুড়ে। এহেন সংকট কালে এবার জানা গিয়েছে, তেলের অভাবে প্রায় থমকে গিয়েছে পাকিস্তানের ট্রেন পরিষেবা।

‘দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন’-কে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, একাধিক কারণে পাকিস্তানে রেল পরিষেবা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ভয়াবহ বন্যার মার। গত কয়েক সপ্তাহে দেশজুড়ে আসা প্রবল বন্যায় জোর ধাক্কা খেয়েছে ‘পাকিস্তান রেল’। যাত্রীর অভাবে আয় ধাক্কা খেয়েছে। প্রতিমাসে আয়ের যে লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে, তা কিছুতেই পূরণ হচ্ছে না। বেশকিছু স্টেশনে ডিজেলের অভাব চরমে। বন্যার জন্য পরিকাঠামোয় যে ক্ষতি হয়েছে তার প্রভাবও পড়েছে। ফলে গোটা ট্রেন নেটওয়ার্ক যে স্বাভাবিক ছন্দে চলে তা বিঘ্নিত হয়েছে।

সূত্রের খবর, গত মঙ্গলবার পর্যন্ত লাহোরের ইঞ্জিন শেডে মাত্র ৯০ হাজার লিটার ডিজেল ছিল। ফয়সলাবাদ স্টেশনে মাত্র একদিনের চলার মতো ডিজেল রয়েছে। মুলতান ও শুক্কুর ডিভিশনে পরিস্থিতি আরও খারাপ। ‘দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন’ জানিয়েছে, বর্তমানে লাহোর ও রাওয়ালপিন্ডির মধ্যে মাত্র একটি ট্রেন চলছে পেশোয়ার ও সিন্ধ প্রদেশের রহরি স্টেশনের মধ্যেও চলছে একটি মাত্র ট্রেন।

উল্লেখ্য, বিগত কয়েক মাস ধরেই পাকিস্তানের অর্থনীতি ক্রমেই নিম্নমুখী। এরমধ্যে চরম রাজনৈতিক ডামাডোলে ক্ষমতা হারায় ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ। প্রধানমন্ত্রী পদে বসেন প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের ভাই শাহবাজ শরিফ। কিন্তু তাতেও অর্থনৈতিক পরিস্থিতির কোনও উন্নতি হয়নি। বরং রেকর্ড গড়ে ডলারের তুলনায় দেশটির মুদ্রার দামে পতন হয়েছে। শুক্রবার প্রতি ডলার কিনতে ব্যয় হয়েছে ২০০ পাকিস্তানি রুপি।