বেঙ্গালুরুত, ২৭ নভেম্বর — চোখের সামনে সন্তানের খিদেতে কাঁদতে থাকা আর সহ্য করতে পারেননি। অথচ খাবার কেনার সামর্থ্যও তার নেই, তাই শেষে বেঁচে নিলেন চরম পথ। দু বছরের এক রাতটিকে শেষে মেরেই ফেলল বাবা। ভয়াবহ এই কাণ্ডটি ঘটেছে বেঙ্গালুরুতে । অভিযুক্ত যুবক ইঞ্জিনিয়ার রাহুল পারমার (৪৫)-কে গ্রেফতার করেছে বেঙ্গালুরু পুলিশ। ঘটনার তদন্তও শুরু হয়েছে।
জানা গেছে, সম্প্রতি কাজ হারিয়েছে ওই যুবক। এমনকী বিট কয়েন ব্যবসাতেও প্রচুর আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে সে। পুলিশি জেরায় রাহুল জানিয়েছে, ‘আমি ঋণের দায়ে জর্জরিত। এই বিপুল পরিমাণ টাকা শোধ করার জন্য স্ত্রীর গয়নাও বন্ধক রেখে দিয়েছিলাম। আর স্ত্রীকে বলেছিলাম যে, সেগুলো চুরি হয়ে গেছে। কিন্তু তাতেও সব সমস্যা মেটেনি। তাই মেয়ের আর আমার দু’জনেরই জীবন শেষ করার কথা ভেবেছিলাম।’
নিজেদের শেষ করার সিদ্ধান্ত নিয়েই মেয়েকে নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল সে। এরপর গাড়ির পিছনের সিটে মেয়েকে বসিয়ে শহরের নানাপ্রান্তে ঘুরতে থাকে। অনেকক্ষণ ধরে এভাবেই ঘুরতে থাকে দু’জন। এরপর খিদে পেতেই কাঁদতে শুরু করে বাচ্চা মেয়েটি। কিন্তু সেসময় খাওয়ানোর জন্য খুব বেশি টাকা ছিল না।
উপায় না দেখে রাস্তার ধারের একটি দোকান থেকে মেয়েকে বিস্কুট কিনে দেয় ওই যুবক। আর তারপরই সিদ্ধান্ত নেয় মেয়েকে মেরে ফেলার। এরপর বেঙ্গালুরু শহরেই একটি হ্রদের মধ্যে মেয়েকে নিয়ে ঝাঁপ দেয়। সেখানেই কোল থেকে বাচ্চাটি ছিটকে জলে ডুবে যায়। এরপরই সেখান থেকে পালিয়ে যায় রাহুল।