এনসিএফের জমা দেওয়া খসড়ায় রয়েছে , “শিশুদের মূল্যায়ন পদ্ধতিতে শিক্ষায় বৈচিত্র থাকা উচিত। শিশুরা বিভিন্ন ভাবে শেখে এবং তাদের প্রকাশের ভাবও ভিন্ন হয়। শ্রেণিতে যে শিক্ষা তারা পায়, তাও এক এক শিশু এক এক রকম ভাবে গ্রহণ করে। কতটা শিখেছে তা বোঝানোর উপায়ও প্রতিটি শিশুর অন্যরকমের হয় । সে জন্য একটি মাত্র মূল্যয়ন পদ্ধতি দিয়ে তা করা সঠিক নয়।”
ওই খসড়ায় লিখিত পরীক্ষার বদলে দ্বিতীয় শ্রেণি অবধি পড়ুয়াদের মূল্যায়ন পদ্ধতি কী হতে পারে তা নিয়েও প্রস্তাব দেওয়া হয় । বলা হয়েছে, “রেকর্ডিং এবং ডকুমেন্টেশনের মাধ্যমে মূল্যায়ন হওয়া উচিত। বাচ্চার উন্নতি বর্ণনা পদ্ধতিগত ভাবে তথ্য সংগ্রহের মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। এবং এই মূল্যায়ন পদ্ধতি যাতে বাচ্চার উপর কোনও অতিরিক্ত বোঝা না চাপায় সে দিকেও নজর রাখতে হবে। মূল্যায়ন পদ্ধতি এমন হতে হবে যা শিশু স্বাভাবিক ভাবেই তাতে অংশ নিতে পারে।”
খসড়ায় তৃতীয় শ্রেণি থেকে পরীক্ষা নেওয়ার জন্য সুপারিশ করা হয়েছে । তবে তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণি অবধি পড়ুয়াদের পরীক্ষা পদ্ধতি সহজ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়াদের পড়াশোনায় ধারণা তৈরির ওপর জোর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি অবধি কম্প্রিহেনসিভ ক্লাসরুম মূল্যায়নের বিষয়ে জোর দিতে বলা হয়েছে। এনসিএফের এই প্রস্তাব পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক।