দিল্লি, ২৫ ডিসেম্বর– যে দেশের ২৫ শতাংশ মানুষ এখনও একবেলা না খেয়ে ঘুমায়। সেই দেশের ব্যাংকে দাবীদারহীন কয়েক হাজার কোটি টাকা পড়ে। সংখ্যাটা ৪২ হাজার ২৭০ কোটি টাকা! এমনই জানালেন অর্থ দফতরের প্রতিমন্ত্রী। প্রতিমন্ত্রী ভগবত কে করাদ জানিয়েছেন, ‘দেশের বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে পড়ে রয়েছে বিপুল পরিমাণ এই টাকা। অথচ নেই কোনও দাবিদার!’
সম্প্রতি সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে অর্থ দফতরের প্রতিমন্ত্রী ভগবত কে করাদের বক্তব্যে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর এই তথ্য।
জানা গেছে, ২০২২ সালে দেশের বিভিন্ন ব্যাঙ্কে জমা থাকা দাবিহীন অর্থের পরিমাণ ছিল ৩২ হাজার ৯৩৪ কোটি টাকা। ২০২৩ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত দাবিহীন ওই অর্থের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪২ হাজার ২৭২ কোটি টাকা। অর্থাৎ শেষ এক বছরে ব্যাঙ্কে দাবিহীন জমা অর্থের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে ২৮ শতাংশ।
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া সূত্রে জানা গিয়েছে, এক দশক বা তার বেশি সময় ধরে কোনও অ্যাকাউন্ট নিস্ক্রিয় হয়ে পড়ে থাকলে সংশ্লিষ্ট গ্রাহককে তলব করা হয়। তলবে সাড়া না দিলে সংশ্লিষ্ট অ্যাকাউন্টটিকে দাবিদারহীন হিসেবে চিহ্নিত করে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ডিপোজিটর এডুকেশন অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস ফান্ডে ট্রান্সফার করে দেওয়া হয়।
তবে ওই দাবীদারহীন টাকার ভবিষ্যৎ কিন্তু মোটেই অজানা নয়। অর্থ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, আইনসম্মতভাবে অ্যাকাউন্টের মালিকের উত্তরসূরির হাতে তুলে দেওয়া হবে জমা থাকা টাকা। অ্যাকাউন্টের মালিকের উত্তরসূরিরা দাবির যাবতীয় প্রমাণ দেখাতে পারলেই তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হবে সেই অর্থ।
গত ১৯ ডিসেম্বর সংসদের অধিবেশনে অর্থ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী ভগবত কে করাদ ব্যাঙ্কে জমা দাবিদারহীন অর্থের পরিমাণ জানিয়ে বলেন, বিষয়টি যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে দেখছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া। কোন ব্যাঙ্কে এই ধরনের কত অ্যাকাউন্ট রয়েছে তার তালিকা চেয়ে পাঠিয়েছে আরবিআই।