খাড়গের বৈঠকে গরহাজির, তবে বিজেপির বিরুদ্ধে সংসদ ভবনে ধরনায় তৃণমূল 

দিল্লি, ১৩ মার্চ — সংসদে সরকারকে চেপে ধরার কৌশল ঠিক করতে মঙ্গলবার সকালে রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গের ঘরে বৈঠকে বসে বিরোধী দলগুলি। সেই বৈঠকে যোগ দেয়নি তৃণমূল কংগ্রেস  এবং ভারত রাষ্ট্র সমিতি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের দল বিআরএসের কেউ সোমবারও খাড়্গের ডাকা বৈঠক এবং সাংবাদিক সম্মেলনে ছিলেন না।

তবে সংসদের বাইরে তৃণমূলের সাংসদেরা আজ বিক্ষোভ সমাবেশ করে। গান্ধী মূর্তির সামনে পোস্টার, প্ল্যাকার্ড বুকে ঝুলিয়ে আদানি, দ্রব্যমূল্যর ইস্যুকে হাতিয়ার করে বিক্ষোভে শামিল হন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, সুখেন্দু শেখর রায়, মহুয়া মৈত্ররা।

সোমবার সংসদের দুই কক্ষেই অধিবেশন বিজেপি ও কংগ্রেস সাংসদদের বিবাদের মুখে বন্ধ করে দেওয়া হয়। বিজেপির দাবি, রাহুল গান্ধীকে তাঁর লন্ডনের বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইতে হবে।


সংসদের বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্ব সোমবার থেকে শুরু হয়েছে। প্রথম পর্বের পর মাঝে দিন পনেরো সংসদ অধিবেশন বন্ধ ছিল। প্রথম পর্বেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল কংগ্রেসের সঙ্গে তাল মেলায়নি। খাড়্গের ডাকা একটি বৈঠকে হাজির থাকার পর আর যোগ দেয়নি তারা।

তৃণমূলের এক নেতার কথায়, ‘আমরা বিজেপি বিরোধিতায় আছি। কিন্তু কংগ্রেসের ছাতার তলায় থাকতে রাজি নই।’ ওই নেতার কটাক্ষ, ‘খাড়্গের বেশিরভাগ বৈঠকেই কোনও অর্থবহ আলোচনা হয় না। স্রেফ চা খেতে যাওয়ার অর্থ হয় না।’ যদিও রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, লোকসভা ভোটের কৌশল হিসাবেই কংগ্রেসের সঙ্গ এড়াচ্ছে তৃণমূল।

যদিও তৃণমূলের অনুপস্থিতি নিয়ে কংগ্রেস এখনও তেমন চড়া সুরে প্রতিক্রিয়া দেয়নি। তবে তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কেসিআরের বিরুদ্ধে কংগ্রেসের অভিযোগ, তিনি বিজেপি বিরোধী জোট ভেস্তে দিতে চাইছেন। বিজেপির সঙ্গে বোঝাপড়া করে কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে তৃতীয় ফ্রন্ট তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছেন তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী।