১৫ সেপ্টেম্বর – ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের দামামা বেজে গেছে। বিজেপি তথা এনডিএ জোটকে হারাতে ২৬টির বেশি বিরোধী দল নিয়ে গড়ে উঠেছে ইন্ডিয়া জোট। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে ইন্ডিয়া জোটের ভূমিকা, সম্ভাবনার পাশাপাশি জেডিইউ নেতা তথা বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের ভূমিকা ও গুরুত্ব কতটা প্রাধান্য পেতে পারে, কিংবা ভোটের ফলাফল কী হতে পারে তার ইঙ্গিত দিয়েছেনা ভোটকৌশলী প্রশান্ত কিশোর।
প্রসঙ্গত বলা যায় যে, ইন্ডিয়া জোটের জন্মস্থান বিহার। জোটের প্রথম বৈঠকটিও বসেছিল বিহারের পাটনাতে। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের ডাকে সাড়া দিয়ে সেই বৈঠকে যোগ দিয়েছিল ১৫টি বিরোধী দল। এরপর ধীরে ধীরে ক্রমশ শক্তিশালী হয়ে উঠেছে ইন্ডিয়া জোট। আরও বেশ কয়েকটি দল পরে এই জোটে যোগ দিয়েছে। কিন্তু ক্রমশ যেটা প্রকাশ হয়েছে তা হল জোটে গুরুত্ব কমেছে নীতীশের। ইন্ডিয়া জোটের সামনের সারিতে রয়েছে কংগ্রস, তৃণমূল, আপ, এমনকী শিবসেনা নেতারাও।
নীতীশের দেখানো পথে হেঁটে তাঁকেই সরে যেতে হল সামনের সারি থেকে এই প্রশ্ন এখন ঘুরপাক খাচ্ছে রাজনৈতিক মহলে। এই প্রসঙ্গে ভোটকৌশলী প্রশান্ত কিশোরের বক্তব্য , ২৬টি দলের জোটে নীতীশ কুমারের বিশেষ কোনও গুরুত্বই নেই। নির্বাচন যতই এগিয়ে আসবে ততই ইন্ডিয়া জোটে নীতীশ কুমারের গুরুত্ব আরও কমবে। বিহারেও তাঁর ভরাডুবি হবে বলে নিশ্চিত প্রশান্ত। তাঁর মতে, আসন্ন লোকসভা ভোটে বিহারে পাঁচটি আসন জিততে পারবে না জেডিইউ। তাই বলাই যায় নির্বাচনের পর, ইন্ডিয়া জোটে নীতীশের আর কোনও ভূমিকাই থাকবে না, এমনটাই মনে করছেন প্রশান্ত কিশোর।
এর আগে ৩১ আগস্ট মুম্বাইয়ে ইন্ডিয়া জোটের তৃতীয় বৈঠকের আগেও নীতীশ কুমারকে নিশানা করেছিলেন প্রশান্ত কিশোর। তিনি তখনই স্পষ্ট বলেন, নিজের রাজ্যেই নীতীশ বেকায়দায়। পিকের মতে, বিরোধী জোটের মধ্যে সবচেয়ে বড় দল কংগ্রেস। এরপরে রয়েছে তৃণমূল ও ডিএমকে-র মত দলগুলি। এই দলগুলি নিজেদের রাজ্যে বেশ শক্তিশালী। কিন্তু বিহারে নীতীশের ভাবমূর্তি এখন তলানিতে।
প্রসঙ্গত বলা যায়, এর আগে জোটের ভবিষ্যৎ নিয়েও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি প্রশান্ত কিশোর। তিনি ভবিষ্যৎবাণী করেছিলেন, বিরোধী জোট কোনও কাজে আসবে না। কারণ, তাঁর মতে জোটের দলগুলির মধ্যে আদর্শের পার্থক্য আছে। তাঁর মতে, শুধু একত্রিত হয়ে নির্বাচনে প্রভাব ফেলা যায় না , একটি নির্দিষ্ট ইস্যুকে মানুষের সামনে তুলে ধরতে হবে বলে মনে করেন তিনি।
………………