জাতি গণনা প্রকাশ হতেই সর্বদলীয় বৈঠক ডাকলেন নীতীশ

বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। (Photo: IANS)

পাটনা, ৩ অক্টোবর- সোমবার বিহারের বহু আলোচিত কাস্ট সেন্সাস বা জাতি গণনার ফলাফল প্রকাশিত হতেই মঙ্গলবারই তা নিয়ে আলোচনার জন্য সর্বদলীয় বৈঠক ডাকলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা জেডিইউ সুপ্রিমো নীতীশ কুমার।

জাতি গণনায় জানা গিয়েছে, বিহারে ১৩ কোটি মানুষের ৬৩ শতাংশই অন্যান্য অনুন্নত শ্রেণি বা ওবিসি-ভুক্ত। তাদের মধ্যে আবার ৩৬ শতাংশ হল অতি পিছড়া বা এক্সট্রিম ব্যকওয়ার্ড শ্রেণি (ইবিসি) ভুক্ত। পশ্চাৎপদ বা ব্যাকওয়ার্ড ২৭.১ শতাংশ। প্রথমভাগের মধ্যে আছে নীতীশ কুমারের স্বজাতি কুর্মি সম্প্রদায়। অন্যদিকে, বাকি ২৭.১ শতাংশের মধ্যে ১৪ শতাংশই হল লালুপ্রসাদের যাদব সম্প্রদায়ের মানুষ।

বিহারের রাজনীতিতে লালুপ্রসাদ যেমন যাদবদের সামনে রেখে রাজনীতিতে মাথা তুলেছেন, তেমনই নীতীশের উত্থানের পিছনে আছে তাঁর স্বজাতি কুর্মি এবং অন্যান্য ইবিসি-ভুক্ত সম্প্রদায়গুলি। বস্তুত বিহারের রাজনীতিতে ইবিসি রাজনীতির পুরোধা মানা হয় নীতীশকে। মধ্যবর্গীয় যাদবদের মোকাবিলায় কুর্মি-সহ অতি পশ্চাৎপদ সম্প্রদায়ের লোকেরা নীতীশকেই আশ্রয় করে।


বিহারের জাতি সমীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পর অন্য রাজ্যেও ইবিসি নিয়ে কৌতূহল তৈরি হয়েছে। সব দলের নেতারাই একান্তে মানছেন, ওবিসি-দের মধ্যে ইবিসি-রা সংখ্যাগরিষ্ঠ এবং ভোটের অঙ্কে এই সম্প্রদায়কে কাছে টানা জরুরি। লোকসভা ভোটের মাস ছয়েক আগে বিহারে জাতি গণনার ফলাফল বলতে গেলে চোখ খুলে দিয়েছে বিজেপি বিরোধী দলগুলির। শুরু হয়েছে কৃতিত্ব দাবিও।

কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ সোমবারই মনমোহন সরকারের সময়ে হওয়া আর্থ-সামাজিক সমীক্ষা রিপোর্টের প্রসঙ্গ টেনে দাবি করেছেন, ইউপিএ সরকারই এই ব্যাপারে প্রথম সকলের চোখ খুলে দিয়েছিল। ২০১২-১৩ সালে হওয়া সেই সমীক্ষা রিপোর্ট নরেন্দ্র মোদী সরকার পুরোটা প্রকাশ না করায় বিজেপিকে কাঠগড়ায় তুলেছেন রমেশ।