কোঝিকোড়, ১৬ সেপ্টেম্বর – গোটা কেরলেই ছড়িয়ে পড়তে পারে নিপা ভাইরাস। কোঝিকোড়ে ক্রমেই বাড়ছে নিপা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় চিকিৎসা গবেষণা সংস্থা ‘ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ’ সতর্ক করে জানাল নিপা ভাইরাস সংক্রমণে মৃত্যুর হার কোভিডের সংক্রমণে মৃত্যুর হারের তুলনায় বেশি। শুক্রবার সংস্থার প্রধান রাজীব বহল জানান, নিপা ভাইরাসে আক্রান্তদের ক্ষেত্রে মৃত্যুর হার ৪০–৭০ শতাংশ। কোভিডে আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যুর হার নিপার তুলনায় অনেকটাই কম, মাত্র ২–৩ শতাংশ।
কেরলে নিপা আতঙ্ক ক্রমেই বাড়ছে। আক্রান্ত ৬ জন, ২ জনের আগেই মৃত্যু হওয়ায় সেই আতঙ্ক আরও বেড়েছে। পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে কেরলের বেশ কিছু স্কুল ছুটি ঘোষণা করে দিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, নিপা ভাইরাস দ্রুত এক রোগীর দেহ থেকে অন্যের শরীরে ছড়িয়ে পড়তে পারে। যে কারণে কেরলে এই ভাইরাস দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকও।
স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রের খবর, দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে অস্ট্রেলিয়া থেকে আনা হচ্ছে মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি। এই মুহূর্তে নিপা ভাইরাস মোকাবিলায় দেশে যে পরিমাণ মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি রয়েছে তাতে বড়জোর ১০ জন রোগীর চিকিৎসা হতে পারে। তাই কেন্দ্রের তরফে অস্ট্রেলিয়া থেকে আরও ২০টি ডোজ আনা হচ্ছে।
তবে নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পরে পরেই এই অ্যান্টিবডি দিয়ে চিকিৎসা করা প্রয়োজন। তা না হলে বিশেষ কোনও ফল মেলে না ।
কোঝিকোড়ের সাতটি গ্রামকে কনটেনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হয়েছে। কেরলের পাশাপাশি কর্নাটক এবং রাজস্থানেও সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সেই আবহেই নিপা নিয়ে সর্তকতা জারি করল কেন্দ্র। সংক্রমণের প্রাথমিক পর্যায়ে ওষুধ দেওয়া দরকার। ভারতে এখনও পর্যন্ত কাউকে এই ওষুধ দেওয়া হয়নি।’ আইসিএমআর জানিয়েছে, ভারতের বাইরে নিপায় আক্রান্ত ১৪ জন রোগীকে মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি দেওয়া হয়েছিল। সকলেই বেঁচে আছেন। তবে এই অ্যান্টিবডি ব্যবহারের সিদ্ধান্ত কেরল সরকার, চিকিৎসক এবং রোগীদের পরিবারের উপর ছেড়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে আইসিএমআর।