দিল্লি, ২৭ সেপ্টেম্বর– খলিস্তানিদের ৫১ ডেরায় একযোগে হানা গোয়েন্দাদের। পরে অভিযানে যোগ দেয় রাজ্য পুলিশও।বুধবার সকাল থেকে খলিস্তানি হটাও অভুজনে ছয় রাজ্যে অভিযান শুরু করেছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ । এরমধ্যে আছে দিল্লি, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ ও উত্তরাখণ্ড।
বুধবার সকালে এনআইএ যে ৫১ জায়গায় অভিযান শুরু করেছে তারমধ্যে পাঞ্জাবে ৩১ জায়গা আছে। রাজস্থানে তল্লাশি চলছে ১৩ জায়গায়।
তাৎপর্যপূর্ণ হল খলিস্তানিদের বিরুদ্ধে এনআইএ-র তৎপরতা বেড়েছে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সে দেশের সংসদের বিতর্কিত মন্তব্যের পর। ট্রুডোর অভিযোগ কানাডার মাটিতে খলিস্তানি নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরের হত্যাকাণ্ডে ভারত সরকারের এজেন্সির হাত আছে। ভারত সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে পাল্টা দাবি করে ট্রুডো প্রশাসন যাবতীয় কূটনৈতিক এবং আন্তর্জাতিক রীতিনীতি অগ্রাহ্য করে খলিস্তানি জঙ্গি নিজ্জরকে নাগরিকত্ব দিয়েছিল। ২০১৮ সালেই নিজ্জর সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হয়। নয়া দিল্লির বক্তব্য, ২০১৬-তে পাঞ্জাবে হিন্দু, শিখ এবং খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী কিছু ব্যক্তির হতাকাণ্ডে নিজ্জরের হাত ছিল। তার নিয়ন্ত্রণে থাকা গ্যাংস্টাররা খুনগুলি করে। কানাডা থেকে নিজ্জরের নির্দেশ দেওয়ার উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ গোয়েন্দারা সংগ্রহ করেন।
সরকারি সূত্রের খবর, নির্দিষ্ট খবরের ভিত্তিতে চালানো এই অভিযানে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারত বিরোধী কার্যকলাপ, মাদক ব্যবসা এবং খুন, সন্ত্রাস, অপহরণের মতো একাধিক ঘটনায় যুক্ত থাকার অপরাধে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা আছে। অভিযুক্তরা গা ঢাকা দিয়ে আছে। ধরা না দিলে তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করবে এনআইএ।
গত সপ্তাহে কানাডা প্রবাসী খলিস্তানি তথা শিখস ফর জাস্টিসের এক শীর্ষ কর্তার অমৃতসর ও চণ্ডীগডে়র সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা।
নিজ্জর হত্যা নিয়ে ট্রুডোর অভিযোগ ঘিরে গত আড়াই সপ্তাহ যাবৎ ভারত-কানাডার সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছে। এরই মধ্যে মঙ্গলবার রাষ্ট্রসঙ্ঘে ভারতের বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর নাম না করে কানাডাকে সতর্ক করেছেন। জয়শঙ্কর বলেছেন, সব দেশেরই উচিৎ অন্য দেশের অখণ্ডতাকে মর্যাদা দেওয়া। প্রসঙ্গত, খলিস্তানিদের প্রধান দাবি হল পাঞ্জাব ও লাগোয়া কিছু এলাকা নিয়ে পৃথক খলিস্তান রাষ্ট্র বা দেশ গঠন।