উইলিংটন, ২৮ নভেম্বর– নিউ জিল্যান্ডের সরকার বদল হতেই আইনের পরিবর্তন হতে চলেছে৷ তরুণ প্রজন্মের জন্য সিগারেট নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল নিউজিল্যান্ডের জেসিন্ডা আরডার্নের সরকার৷ এবার সরকার বদলের সঙ্গে-সঙ্গেই সেই আইনের বদল ঘটতে চলেছে৷ অর্থাৎ ধূমপানের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের নতুন প্রধানমন্ত্রী ক্রিস্টোফার লুক্সন৷ নতুন সরকারের এই সিদ্ধান্তকে ‘মর্মান্তিক’ বলে অভিহিত করেছে নিউজিল্যান্ডের জনগণ৷
যদিও আইন বদলের কারণ ব্যাখ্যা করেছেন ক্রিস্টোফার লুস্কন৷ সোমবারই নিউজিল্যান্ডের নতুন প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন ক্রিস্টোফার লুক্সন৷ দেশের দায়িত্বভার গ্রহণের পরই ক্রিস্টোফার বলেছিলেন যে, তাঁর প্রথম লক্ষ্য হবে অর্থনীতির উন্নতি ঘটানো৷ সিগারেট বিক্রি থেকে সরকারের মোটা অঙ্কের রাজস্ব আদায় হয়৷ তাই রাজস্ব বাড়াতে ও দেশের অর্থনীতির উন্নতি ঘটাতেই সিগারেটে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন লুস্কন৷ তবে কাউকে ধূমপানে উৎসাহিত করা এই পদক্ষেপের অর্থ নয় বলেও স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি৷
প্রসঙ্গত, গত বছর সিগারেটের উপর নিষেধাজ্ঞা আইনটি নিয়ে আসেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন৷ ‘ধূমপানমুক্ত পরিবেশ আইন’ নামক সেই আইনে বলা হয়েছিল, ২০০৮ সালের পরে জন্মগ্রহণকারী ব্যক্তিরা সিগারেট বা ধূমপান সম্পর্কিত পণ্য কিনতে পারবেন না৷ এমনকি, তামাকজাত দ্রব্য বিক্রয়কারী খুচরো বিক্রেতাদের সংখ্যা এবং সিগারেটে নিকোটিনের পরিমাণের নির্দেশিকাও নির্ধারণ করে দিয়েছিল সরকার৷ মূলত, যুব সম্প্রদায়কে তামাক সেবন থেকে বিরত রাখা এই আইনের উদ্দেশ্য ছিল৷ কেননা সাম্প্রতিককালে যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে ধূমপানের প্রবণতা অতিরিক্ত বেডে় গিয়েছিল৷ আরডার্ন সরকারের এই পদক্ষেপের প্রশংসা করে ব্রিটেন সরকারও এরকম আইন আনবে বলে ঘোষণা করেছিল৷ কিন্ত্ত, আরডার্নের পদত্যাগের পর নিউজিল্যান্ডে নতুন সরকার এই আইন প্রত্যাহারের ঘোষণা করল৷