দিল্লি, ১৮ ডিসেম্বর – লোকসভায় নতুন টেলিকম বিল পেশ করলেন কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি, ইলেকট্রনিক্স এবং টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণো। নতুন টেলিকম বিল পাশ হলে ব্রিটিশ জমানার টেলিগ্রাফ আইন, ওয়্যারলেস টেলিগ্রাফি আইনের বদলে এটাই সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রটির নিয়ন্ত্রণের নতুন আইন হয়ে উঠবে। যদিও এই বিল পেশ করার পর সোমবার তুমুল হৈ-হট্টগোল শুরু হয়ে যায় বিরোধী শিবিরের তরফে। ওই বিলের একাধিক ধারা নিয়ে আপত্তি তুলেছে বিরোধীরা। তাদের অভিযোগ, জাতীয় নিরাপত্তার অজুহাতে যে কোনও সংস্থার টেলিযোগাযোগ পরিষেবার নিয়ন্ত্রণ হাতে নেওয়ার বা বন্ধ করার সীমাহীন ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারকে।
নতুন বিলের খসড়ায় ইন্টারনেট নির্ভর ফোন এবং মেসেজকেও ‘টেলি-যোগাযোগের’ আওতায় আনা হয়েছে। গত আগস্ট মাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মন্ত্রিসভার বৈঠকে নতুন টেলিযোগাযোগ বিলের খসড়া পাশ হয়েছিল। সরকারের যুক্তি ছিল, ১৩৮ বছরের পুরনো ব্রিটিশ আমলের টেলিগ্রাফ আইন ইন্টারনেট নির্ভর টেলি-যোগাযোগ ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী নয়। জাতীয় নিরাপত্তার কারণে নেট-নির্ভর টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণে নতুন আইন প্রণয়নের প্রয়োজন রয়েছে। যদিও বিরোধীদের একাংশের অভিযোগ, প্রস্তাবিত ওই আইন ভবিষ্যতে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহারের আশঙ্কা রয়েছে।