‘ভারত’ বিতর্কে ইতি নয়া সংসদ ভবনের নামেই 

দিল্লি, ১৯ সেপ্টেম্বর– মঙ্গলবার নতুন সংসদ ভবন আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করল। ২৮ মে ভবনের উদ্বোধন হলেও অধিবেশন শুরুর জন্য গণেশ চতুর্থীকে বেছে নিয়েছিল মোদি সরকার। আর এই নতুন ভবনের পথ চলার মধ্যে দিয়েই আরেক বিতর্কের যেন ইতি ঘটল বলাই যায়। 

জি-২০ সম্মেলন দিয়ে শুরু হয়েছিল দেশের নাম বিতর্কের। প্রথমে দেশের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে পাঠানো চিঠিতে ‘প্রেসিডেন্ট অফ ভারত’, আর তারপর জি-২০ সম্মেলন মঞ্চে মোদির নামের আগে পিএম অফ ভারত লিখে বিতর্কের নয়া দিক নির্দেশ করে মোদি সরকার। আর তাই নিয়ে নানান জল্পনা শুরু হয়ে যায় বিরোধী শিবিরগুলোতে। যদিও এই বিতর্ক নিয়ে বরাবর না বাচক উত্তর দিয়ে এসেছে শাসক দল বিজেপি। তবে সম্প্রতি নয়া সংসদ ভবনের শুরু হওয়ার মধ্যেও জায়গা করে নিয়েছিল এই বিতর্ক। দেশের নাম ইন্ডিয়া এবং ভারত নিয়ে বিতর্কের মধ্যে নয়া সংসদ ভবন কোন নামে পরিচিত হবে তা নিয়ে জোর জল্পনা ছিল। অনেকেই অনুমান করেছিলেন, ‘পার্লামেন্ট হাউস অফ ভারত’ রাখা হবে নতুন সংসদ ভবনের।

পুরনো ভবনে সোম ও মঙ্গলবারের ভাষণে কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরী ইন্ডিয়া ও ভারত বিতর্ক সংসদে টেনে আনেন। দাবি করেন, দেশের ইন্ডিয়া নামকে গুরুত্বহীন করে দেওয়া যাবে না।


কিন্তু ইন্ডিয়া নাকি ভারত বিতর্কে ইতি টেনে দিয়েছে নতুন সংসদ ভবনের শুরু হওয়া। দেখা গেল লোকসভার সচিবালয় সংসদ ভবনের পরিচয় সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে ইন্ডিয়া শব্দটিই রেখেছে। প্রেসিডেন্ট অফ ভারত, প্রাইম মিনিস্টার অফ ভারত, মিনিস্টারস অফ ভারত সেখানে অংশ নেবেন । নতুন সংসদ ভবনের ঠিকানা- প্লট নম্বর ১১৯. নিউ দিল্লি ইস্ট, জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। জায়গাটি পুরনো সংসদ ভবনের জন্য বরাদ্দ জমির অংশ।

এদিন মোদি আরও বলেন, “আমি লালকেল্লায় ১৫ আগস্টের ভাষণে বলেছিলাম, এটাই সময়, সঠিক সময়। ভারত আবার নতুন চেতনায় জেগে উঠেছে। ভারত এক নতুন শক্তিতে ভরপুর। এই চেতনা ও শক্তি কোটি কোটি মানুষের স্বপ্নকে সংকল্পে পরিণত করতে পারে, সেই সংকল্পকে বাস্তবে রূপ দিতে পারে।” মোদি আরও বলেন, “ভারত খুব শিগগির তৃতীয় শক্তিশালী দেশ হয়ে উঠতে চলেছে। গোটা বিশ্ব জানে।”