ঘাটাল, ১০ অক্টোবর – ১৯ বছর পর প্রতিবেশীকে অ্যাসিড ছুঁড়ে হত্যার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হল দাসপুরের বড় শিমুলিয়ার বাসিন্দা নন্দ সামন্ত। মঙ্গলবার ঘাটাল মহকুমা আদালত ওই ব্যক্তির যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা ঘোষণা করে। দাসপুর থানা এলাকার বড় শিমুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা নন্দ সামন্ত। ২০০৪ সালের ২২ জুলাই নন্দ সামন্ত তার প্রতিবেশী রতন সামন্তর গায়ে অ্যাসিড হামলা চালিয়েছিল বলে অভিযোগ। অ্যাসিডে পুড়ে যায় প্রতিবেশীর সম্পূর্ণ শরীর। প্রায় দু’মাস হাসপাতালে যমে-মানুষে টানাটানির পর ওই বছরেরই ৯ সেপ্টেম্বর হাসপাতালে মৃত্যু হয় রতন সামন্তর।
২০০৪ সালের জুলাইয়ে ওই অ্যাসিড হামলার পর তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল দাসপুরের হাসপাতালে। শরীরের বেশিরভাগ অংশই অ্যাসিড হামলায় দগ্ধ হয়ে যায় । শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি হওয়ায় দ্রুত তাঁকে ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় । কিন্তু অবস্থার আরও অবনতি হতে থাকে । ঘাটাল মহকুমা হাসপাতাল থেকে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতায়। কলকাতার এক হাসপাতালে দীর্ঘদিন ধরে যমে-মানুষে টানাটানির পর হামলার ৫০ দিনের মাথায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থাতে মৃত্যু হয় রতন সামন্তর।
রতন সামন্তের স্ত্রী বিভা সামন্ত দাসপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। মূল অভিযোগ ছিল প্রতিবেশী নন্দ সামন্তের বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে নন্দ সামন্তকে গ্রেফতার করে দাসপুর থানার পুলিশ। অ্যাসিড হামলায় রতন সামন্তর মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত হিসেবে নন্দ কুমারের বিরুদ্ধে মামলা শুরু হয়। মামলা ওঠে ঘাটাল মহকুমা আদালতে। দীর্ঘদিনের আইনি লড়াইয়ের পর অবশেষে দোষী সাব্যস্ত হল নন্দ সামন্ত। ঘটনার ১৯ বছর পেরিয়ে অভিযুক্ত নন্দ সামন্তের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা ঘোষণা করল ঘাটাল মহকুমা আদালত।