• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

নেহরু একনায়কত্বে নন, মহানুভবতা ও ভালোবাসার মন্ত্রে বিশ্বাসী , উক্তি বিক্রম শেঠের 

দিল্লি, ২০ মে – প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু সম্পর্কে শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন করলেন বিশিষ্ট সাহিত্যিক বিক্রম শেঠ। গণতন্ত্র সম্পর্কে নেহরুর ভাবনার উচ্চতা অন্য পর্যায়ের ছিল করেন তিনি।  বিক্রম শেঠের ভাষায়, নেহেরু একজন মহানুভব মানুষ ছিলেন, যিনি একনায়কত্ব-এর ধারণায় বিশ্বাসী ছিলেন না, তিনি গণতন্ত্রকেই সবসময় প্রাধান্য দিয়ে এসেছেন। ঘৃণা নয়, ভালোবাসার বন্ধন দেশের মানুষের মধ্যে

দিল্লি, ২০ মে – প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু সম্পর্কে শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন করলেন বিশিষ্ট সাহিত্যিক বিক্রম শেঠ। গণতন্ত্র সম্পর্কে নেহরুর ভাবনার উচ্চতা অন্য পর্যায়ের ছিল করেন তিনি।  বিক্রম শেঠের ভাষায়, নেহেরু একজন মহানুভব মানুষ ছিলেন, যিনি একনায়কত্ব-এর ধারণায় বিশ্বাসী ছিলেন না, তিনি গণতন্ত্রকেই সবসময় প্রাধান্য দিয়ে এসেছেন। ঘৃণা নয়, ভালোবাসার বন্ধন দেশের মানুষের মধ্যে অটুট হোক, তাঁর নিজের এই বিশ্বাসকে সবার মধ্যে বিলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে গেছেন তিনি। এমনটাই দাবি করলেন সাহিত্যিক বিক্রম শেঠ । শনিবার মুম্বইয়ের তাজমহল হোটেলে ‘আ স্যুটেবল বয়’-এর লেখক এভাবেই প্রশস্তিতে ভরিয়ে দিলেন নেহরুকে। পাশাপাশি অবশ্য তিনি এও মেনে নেন যে নেহরুর কোন কোন সিদ্ধান্ত ভুলও  ছিল।

ঠিক কী বলেছেন বিক্রম? তাঁকে বলতে শোনা যায়, ”তাঁর সমস্ত ভুল সত্ত্বেও নেহরু এক মহানুভব মানুষ ছিলেন, যাঁর গণতন্ত্রে আস্থা ছিল। তাঁর জনপ্রিয়তাও ছিল আকাশচুম্বী। তিনি অনায়াসেই একজন একনায়ক হয়ে উঠতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা করেননি। একে অপরকে ঘৃণা না করার মন্ত্র শিখিয়ে তিনি আমাদের বাঁচিয়েছিলেন। ভারতের মতো দেশে, যেখানে এক সমৃদ্ধ সভ্যতা ছিল, সেখানে দেশভাগের পর ধর্মীয় ঘৃণা-সংঘর্ষ রুখে দিয়েছিলেন নেহরু।”
১৯৬২ সালের প্রেক্ষাপটে ভারত-চিন যুদ্ধ ও কাশ্মীর সমস্যার মতো যে জটিল বিষয়গুলি ছিল তাও মেনে নেন বিক্রম। এরই পাশাপাশি ৭০ বছরের লেখকের দাবি, নেহরুর পরে লাল বাহাদুর শাস্ত্রী ও ইন্দিরা গান্ধিও দেশে ঘৃণার প্রকোপ কমাতে বিরাট ভূমিকা নেন ও সাফল্য পান।