দিল্লি, ১৭ এপ্রিল– একের পর এক বিপদের মুখে শরদ পাওয়ারের পার্টি এনসিপি। সাতদিন আগেই জাতীয় দলের মর্যাদা গিয়েছে। আর এরই মধ্যে ভেঙে যাওয়ার মুখে দলই । এবার নিজের রাজ্য মহারাষ্ট্রেই দু-টুকরো হতে বসেছে সেই দল। কিন্তু তার থেকেও বড় ব্যাপার হল এই ভাঙ্গনের জন্য দায়ী হতে চলেছে খোদ তাঁর পরিবার ।
রাজ্যের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী তথা শরদের ভাইপো অজিত শিবসেনার (উদ্ধব) গোষ্ঠী ছেড়ে বিজেপি ও একনাথ শিন্ডের শিবসেনা জোটের সঙ্গে হাত মেলাতে চান। এ নিয়ে কাকা-ভাইপোর বিরোধ এতদূর গড়িয়েছে যে পাওয়ার শরিক নেতা উদ্বব ঠাকরে ও তাঁর ঘনিষ্ঠ সাংসদ সঞ্জয় রাউতকে ডেকে বলে দিয়েছেন, এনসিপির কিছু বিধায়ক দলবদল করে বিজেপিতে যেতে পারে। কিন্তু তিনি কিছুতেই বিজেপির হাত ধরবেন না।
তাৎপর্যপূর্ণ হল দল ভাঙানোর ‘অপারেশন লোটাস’ এমন সময় শুরু হয়েছে যখন সদ্য দিল্লিতে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে ও রাহুল গান্ধির সঙ্গে বৈঠক করে মুম্বই ফিরেছেন পাওয়ার। দিল্লির বৈঠকে তিনি সাফ জানিয়ে দেন, বি‘রোধী ঐক্য তৈরির উদ্যোগে তিনি পুরোপুরি আছেন। দেশবাসী পরিবর্তন চাইছে। তিনি পরিবর্তন ভাবনার সঙ্গেই আছেন।
পাওয়ারের কংগ্রেসের হাত ধরার খবর জানাজানি হতেই এনসিপি ভাঙাতে অজিতের তৎপরতা বেড়ে যায়। শারদ পাওয়ার ঘনিষ্ঠমহলে বলেছেন, তিনি দল অটুট রাখতে বদ্ধপরিকর। কিন্তু কেউ যদি বিজেপিতে যেতে চায়, আটকে রাখার উপায় নেই। প্রসঙ্গত, মহারাষ্ট্রে এনসিপি-র ৫৩জন বিধায়ক আছেন। তাঁদের কতজন অজিতের সঙ্গে আছেন এখনও স্পষ্ট নয়।
পাওয়ারের পরিবারের অশান্তির বিষয়টি প্রকাশ্যে এনেছেন সঞ্জয় রাউতই। শিবসেনার মুখপাত্র সামনায় প্রকাশিত সাপ্তাহিক কলমে তুলে ধরেছেন এনসিপিতে বিজেপির অপারেশন লোটাসের ছক। পাওয়ার তাঁদের আরও বলেন, ইডি, সিবিআই, পুলিশ, আয়কর লাগাতার এনসিপি বিধায়কদের ভয় দেখাচ্ছে মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার। বিজেপির সঙ্গে হাত মেলাতে জোর চাপ সৃষ্টি করা হয়েছে।