দিল্লি, ১২ আগস্ট– পাঠ্যবই ও সিলেবাস নতুন করে সাজানোর প্রক্রিয়া শুরু করে দিল কেন্দ্র সরকার। সেই লক্ষ্যে নতুন কমিটিতে আনা হল নারায়ণ মূর্তির স্ত্রী লেখিকা সুধা মূর্তি, গায়ক শঙ্কর মহাদেবন এবং দুই বাঙালি অর্থনীতিবিদ বিবেক দেবরয় ও সঞ্জীব সান্যালকে। এই দুই বাঙালি প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা কমিটির দুই সদস্য।
মোদি জমানায় এনসিইআরটির পাঠ্যবইয়ে যে আরএসএসের মতাদর্শ প্রভাব থাকতে পারে সেই আশা বা আশঙ্কার কথা অনেকেই প্রকাশ করছিলেন। এখনো পাঠ্যবইয়ের কথা না বলা গেলেও কমিটিতে আরএসএসের প্রভাব যে বর্তমান তার প্রমান কমিটি রাখা হল শিক্ষাবিদ চামু কৃষ্ণ শাস্ত্রীকে। সংস্কৃতের এই পণ্ডিত আরএসএসের আস্থাভাজন বলেই সুবিদিত। নতুন কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়েছে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ এডুকেশন প্ল্যানিং অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন তথা নিপার আচার্য মহেশ চন্দ্র পন্থকে।
এনসিইআরটি এ ব্যাপারে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। তাতে বলা হয়েছে, এই হাই পাওয়ার কমিটি তৃতীয় থেকে দ্বাদশ শ্রেণির জন্য স্কুল সিলেবাস, পাঠ্যবই ইত্যাদি তৈরি করবে। এও বলা হয়েছে, পাঠ্যক্রমের কাঠামো নিয়ে যে রোড ম্যাপ ইতিমধ্যেই এনসিএফ-এসই দিয়েছে, সেটাই রেফারেন্স পয়েন্ট ধরে এবার সিলেবাস সাজাতে হবে। যা পাঠ্যবই ছাপানোর ক্ষেত্রে গোটা দেশে ব্যবহার করা হবে।
জাতীয় শিক্ষা নীতি অনুযায়ী স্কুল শিক্ষায় পাঠ্যক্রমে কী কী পরিবর্তন করা উচিত সে ব্যাপারে তারা গত ২৮ জুলাই শিক্ষা মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের কাছে সুপারিশ করেছে। এই এনসিএফের মাথায় ছিলেন ইসরোর প্রাক্তন চেয়ারম্যান কে কস্তুরিরঙ্গন।
ঘটনা হল, এনসিএফ যে সব সুপারিশ করেছে তা এখনও আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রকাশ করা হয়নি। তবে সূত্রের খবর, বোর্ডের পরীক্ষা বছরে দুটি ধাপে করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। দশম শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের জন্য পড়াশুনার বিষয়বস্তুকে ৮টি ভাগ করার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। তবে কোন শিক্ষাবর্ষ থেকে নতুন ব্যবস্থা চালু হবে তা এখনও ঠিক নেই। কারণ তার আগে নতুন সিলেবাস কমিটিকে তাঁদের কাজ শেষ করতে হবে।