• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

সাজার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই মুক্তি পাচ্ছেন নভজ্যোৎ সিংহ সিধু

চন্ডিগড়, ৩১ মার্চ – জেলের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই মুক্তি পাচ্ছেন  নভজ্যোৎ সিংহ সিধু। অবসরপ্রাপ্ত ক্রিকেটার তথা কংগ্রেস নেতা নভজোত সিং সিধু শনিবার জেল থেকে মুক্তি পেতে চলেছেন ।এই বছরেরই ১৯ মে ছাড়া পাওয়ার কথা ছিল তাঁর।  কিন্তু দেড় মাস আগেই পাতিয়ালার সেন্ট্রাল জেল থেকে মুক্তি মিলছে তাঁর। তাঁর টুইটার হ্যান্ডল থেকে শুক্রবার দুপুরে  লেখা হয়, “সবাইকে জানাতে

চন্ডিগড়, ৩১ মার্চ – জেলের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই মুক্তি পাচ্ছেন  নভজ্যোৎ সিংহ সিধু। অবসরপ্রাপ্ত ক্রিকেটার তথা কংগ্রেস নেতা নভজোত সিং সিধু শনিবার জেল থেকে মুক্তি পেতে চলেছেন ।এই বছরেরই ১৯ মে ছাড়া পাওয়ার কথা ছিল তাঁর।  কিন্তু দেড় মাস আগেই পাতিয়ালার সেন্ট্রাল জেল থেকে মুক্তি মিলছে তাঁর। তাঁর টুইটার হ্যান্ডল থেকে শুক্রবার দুপুরে  লেখা হয়, “সবাইকে জানাতে চাই, নভজ্যোত সিংহ সিধু আগামীকাল পাতিয়ালা জেল থেকে মুক্তি পেতে চলেছেন।” পঞ্জাবের আপ সরকারের এক মন্ত্রী এই টুইটের সত্যতা স্বীকার করে জানিয়েছেন, শনিবার জেল থেকে মুক্তি পাবেন সিধু।

৩৫ বছরের পুরনো একটি ঘটনায় ২০২২ সালের ২০ মে পাতিয়ালা আদালতে আত্মসমর্পণ করেন পাঞ্জাবের প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি সিধু। আদালত তাঁকে টানা এক বছর কয়েদবাসের সাজার কথা ঘোষণা করে।  কিন্তু জেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, জেলের ভিতর ভাল ব্যবহার করার জন্য আগেই ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে সিধুকে।

ঘটনার সূত্রপাত  ১৯৮৮ সালে। সিধু এবং তাঁর বন্ধু রূপিন্দর সিংহ সাঁধু রাস্তার মাঝখানে গাড়ি রেখে চলে যাওয়ায় মারুতিচালক এক বৃদ্ধ তাঁর প্রতিবাদ করেন। অভিযোগ কথা কাটাকাটির সময় গুরনাম সিংহ নামে ওই চড়  কষিয়ে দেন  সিধু। মাথায় আঘাত পেয়ে মারা যান ওই বৃদ্ধ। ওই সময় পুলিশের হাতে গ্রেফতার হলেও নিম্ন আদালতে প্রমাণের অভাবে সিধু এবং তাঁর সহযোগীকে বেকসুর খালাস করে দেওয়া হয় । পঞ্জাব এবং হরিয়ানা হাই কোর্টে অবশ্য সিধু দোষী সাব্যস্ত হন। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সিধু সুপ্রিম কোর্টে গেলে শীর্ষ আদালত হাই কোর্টের রায় খারিজ করে দেয়। নিহতের পরিবার রায় পুনর্মূল্যায়ন করার আর্জি জানান। এই মামলায় ইচ্ছাকৃতভাবে  আঘাত করার অভিযোগে সিধুকে এক বছরের সাজা শোনায় সুপ্রিম কোর্ট।

সিধু অবশ্য বার বার দাবি করে এসেছেন, তাঁর জন্য কারও মৃত্যু হয়নি। কিন্তু ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেন। আদালতও তাদের পর্যবেক্ষণে জানায়, সিধুর মতো এক জন বক্সার, খেলোয়াড়ের চড়ে কারও মৃত্যু হওয়া অস্বাভাবিক নয়। দীর্ঘ আইনি লড়াই শেষে গত বছর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে পাতিয়ালা জেলে আত্মসমর্পণ করেন সিধু। তাঁর ঘনিষ্ঠদের বক্তব্য, জেলে গিয়ে আমূল বদলে যান সিধু।  মেদ ঝরার পাশাপাশি তাঁর  স্বভাবও বদলেছে।  জেলে সংযত আচরণের কারণেই তাঁর আগাম মুক্তি।