পেশোয়ার, ১২ ডিসেম্বর – ফের আত্মঘাতী হামলায় কেঁপে উঠল পাকিস্তান। থানায় ঢুকে আত্মঘাতী হামলা চালাল আততায়ীরা। ঘটনাটি ঘটে পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশে। ডেরা ইসমাইল খান শহরে একটি থানা ও সেনাঘাঁটিতে ভয়াবহ আত্মঘাতী হামলা চালিয়েছে জঙ্গিরা। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৬ জন পুলিশকর্মীর মৃত্যুর খবর মিলেছে। ১৬ জন গুরুতর আহত হয়েছেন বলে কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়। আহত বহু।এই ঘটনার পর গোটা এলাকায় অতিরিক্ত নিরাপত্তা মোতায়েন করা হয়। স্কুল, কলেজ ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকাজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ গুলির লড়াই চলে জেহাদিদের। হামলার দায় স্বীকার করেছে তেহরিক-ই-জেহাদ পাকিস্তান। জানা গিয়েছে, একাধিক হামলাকারী ওই বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ির ভিতরে ছিল।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার খাইবার পাখতুনখোয়ার ডেরা ইসমাইল খান শহরের একটি থানা ও সেনাঘাঁটিতে হামলা চালায় ফিদায়েঁ জঙ্গিদের একটি দল। জেহাদিরা নিরাপত্তা বলয় ভেদ করে ঢুকে পড়ে। জানা গিয়েছে, প্রথমে জঙ্গিরা থানার মধ্যে মর্টার হামলা চালায়। এরপর উভয় পক্ষের মধ্যে গুলি লড়াই শুরু হয়। এরপরই বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ি দাঁড়াবেন থানার ভিতরে ঢুকিয়ে দেয় জঙ্গিরা। ফলে ভয়াবহ বিস্ফোরণে ঘটনাস্থলেই ৬ জন পুলিশ ও নিরাপত্তা কর্মীর মৃত্যু হয়। সূত্রের খবর, এই হামলায় আহত হন কমপক্ষে ২৮ জন। জঙ্গিদের নিকেশ করতে পালটা আক্রমণ শুরু করে পাক নিরাপত্তাকর্মীরা।
শেষ পাওয়া খবরে জানা যায়, এই ঘটনায় সব জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। হামলার পর এলাকা জুড়ে তল্লাশি অভিযান শুরু হয়। রাস্তাঘাট সম্পূর্ণভাবে পুলিশ ও পাকিস্তান সেনার দখলে চলে যায়।
উল্লেখ্য, গত নভেম্বর মাসে পাঠানকোটের কায়দায় পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের মিয়াঁওয়ালির বায়ুসেনা ঘাঁটিতে হামলা চালায় ফিদায়েঁ জঙ্গিদের একটি দল। সেনার সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয়েছে ৯ জেহাদির। সেই হামলারও দায় নেয় তেহরিক-ই-জেহাদ। এর আগেও ডেরা ইসমাইল খান শহরে পুলিশকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছিল। যার ফলে মৃত্যু হয় ৫ জনের।