৩২ বছরের পুরনো মামলায় দোষী সাব্যস্ত মুখতার আনসারীর যাবজ্জীবন  

লখনউ, ৫ জুন –  বত্রিশ বছর পর অবশেষে খুনের মামলায় দোষী,  সাব্যস্ত হলেন জেলবন্দি উত্তরপ্রদেশের গ্যাংস্টার তথা রাজনীতিক মুখতার আনসারি। কংগ্রেস নেতা অবধেশ রাইকে খুনের অপরাধে আনসারিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিল বারাণসীর আদালত। সোমবার দুপুর ২ টো নাগাদ  এই আজীবন কারাবাসের সাজা শোনান বারাণসীর সাংসদ-বিধায়ক আদালতের বিশেষ বিচারক অবনীশ গৌতম। এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন নিহতের দাদা তথা কংগ্রেস নেতা অজয় রাই।

নব্বইয়ের দশকে উত্তরপ্রদেশের কংগ্রেস নেতা অজয় রাইয়ের ভাই অবধেশ রাইকে খুনের মামলা চলছিল আনসারির বিরুদ্ধে। ১৯৯১ সালের ৩ অগস্ট বারাণসীতে অজয়ের বাড়ির সামনে গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে যান অবধেশ। ওই খুনের পিছনে আনসারি ছাড়াও ভীম সিংহ, প্রাক্তন বিধায়ক আব্দুল কলিম এবং রাকেশ নায়েক-সহ আরও দু’জনের নামে এফআইআর করেন অজয়। সোমবার আনসারির বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় শোনার পর অজয় বলেন, ‘’৩২ বছরের দীর্ঘ লড়াইয়ের পর যুদ্ধে জিতেছি আমরা। আদালতের এই রায়কে স্বাগত জানাই… আমার কোনও ক্ষতি হলে তার জন্য দায়ী থাকবে বিজেপি সরকার।’’

.ঘটনার সময় আনসারি বিধায়ক পদে না থাকলেও রাজনৈতিক ক্ষমতায় আসতে চলেছেন । দীর্ঘ দিন ধরে চলা এই মামলায় শুনানি শেষ হয় ১৯ মে। সোমবারই আনসারির সাজা শোনানো হতে পারে বলে সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর। ইতিমধ্যেই অপহরণ করে খুনের অন্য একটি মামলায় ১০ বছরের কারাদণ্ডের সাজা ভোগ করছেন  উত্তরপ্রদেশের ‘বাহুবলী’ বিধায়ক আনসারি। আনসারির বিরুদ্ধে সবমিলিয়ে মোট প্রায় ৬০টি মামলা রয়েছে। তারমধ্যে ছ’টিতে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। গত এপ্রিল মাসে অপহরণ ও হত্যার অন্য একটি মামলায় আনসারির ১০ বছরের কারাদণ্ড হয়। 

উত্তরপ্রদেশের রাজনীতিতে বাহুবলী নেতাদের তালিকায় অন্যতম নাম মুখতার আনসারি। ১৯৯৬, ২০০২, ২০০৭, ২০১২ ও ২০১৭ সালে তাঁর গড় থেকে বিধায়ক হন তিনি। এরমধ্যে জেল থেকেই শেষ তিনটি নির্বাচলে লড়াই করেছেন আনসারি। ২০২২ সালে ওই সিট থেকে জয়ী হন তাঁর ছেলে আব্বাস আনসারি।