লখনউ, ১১ ফেব্রুয়ারি– শুক্রবার লখনউয়ে ‘গ্লোবাল ইনভেস্টর্স সামিট’-এর উদ্বোধন করে যোগীর প্রশংসায় ভরিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, কয়েক বছর আগে পর্যন্তও উত্তরপ্রদেশকে ‘বিমারু’ রাজ্য বলা হত। কোনও আশা ছিল না রাজ্যের তরফে। তবে এবার উত্তরপ্রদেশ ভাল প্রশাসন ও উন্নয়নের জন্য পরিচিত।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ছিলেন উত্তরপ্রদেশের রাজ্যপাল আনন্দীবেন প্যাটেল, মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং প্রমুখ। রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের সিএমডি মুকেশ আম্বানি, আদিত্য বিড়লা গ্রুপের চেয়ারম্যান কুমার মঙ্গলম বিড়লা এবং টাটা গ্রুপের চেয়ারম্যান এন চন্দ্রশেখরন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তাদের বক্তব্য রাখেন। কুমার মঙ্গলম বিড়লা ২৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের ঘোষণা করেছেন। সেই সঙ্গে রিলায়েন্সের কর্ণধার মুকেশ আম্বানির ঘোষণা তিনি যোগীরাজ্যে ৭৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করবেন।
পাশাপাশি, দেশ-বিদেশের শিল্পপতি-বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর বার্তা, “ভারতের সংস্কার হচ্ছে দৃঢ় বিশ্বাস থেকে, কোনও বাধ্যবাধকতা থেকে নয়।” সেই সঙ্গেই তিনি সদ্য সংসদে পেশ হওয়া সাধারণ বাজেট প্রসঙ্গ উল্লেখ করে মনে করিয়ে দেন, পরিকাঠামো উন্নয়নে যেভাবে বাজেটে বরাদ্দ করা হয়েছে, তা ভারতে ব্যবসার সুযোগকে আরও বেশি করে ত্বরান্বিত করবে।
সরকারি উদ্যোগে আয়োজিত বিনিয়োগকারীদের সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তবে তিনি সেখানে নিজেকে রাজ্যের একজন সাংসদ হিসাবে উপস্থিত করতে চান। বস্তুত, মোদি বারাণসীর সাংসদ। তিনি এদিন বলেন, উত্তরপ্রদেশ এমনই একটি রাজ্য, যেখানে পাঁচটি বিমানবন্দর রয়েছে। যা খুব শীঘ্রই কার্যকরী হতে চলেছে। এ ছাড়াও রাজ্যের সঙ্গে সংযুক্ত হতে চলেছে সমুদ্র বন্দরগুলিও।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বিনিয়োগের জন্য যদি ভারত সবচেয়ে উজ্জ্বল জায়গা হয়ে থাকে, তা হল উত্তরপ্রদেশ। দেশের প্রগতিতে নেতৃত্ব দিচ্ছে এই রাজ্য। মোদির দাবি, দেশের মোবাইল উৎপাদনের ৬০ শতাংশ হয় উত্তরপ্রদেশে। এছাড়াও ডেয়ারি, কৃষি উৎপাদন, মৎসপালন, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণের মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবসা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে এই রাজ্যে। পরিকাঠামো উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে আজ উত্তরপ্রদেশে ‘ভাবনা ও উদ্যোগ’ও পালটে যেতে পারে। বিদ্যুৎ থেকে শুরু করে সংযোগ পর্যন্ত, সমস্ত দিক থেকেই কার্যকরী ভাবে এগিয়ে চলেছে উত্তরপ্রদেশ। দেশের ‘আশার অন্যতম কেন্দ্র’ হতে চলেছে উত্তরপ্রদেশ।