ভোপাল, ২১ নভেম্বর– এবার মধ্যপ্রদেশ। এ যেন কপি ক্যাট শুরু হয়েছে হত্যা কাণ্ডের। দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, বাংলার বারুইপুরের পরে এবার মধ্যপ্রদেশে দেহ টুকরো করার ঘটনা ঘটল। স্ত্রীর দেহ কুঠার দিয়ে কুপিয়ে দু’টুকরো করে কেটে জঙ্গলে পুঁতে দিল স্বামী।
দিল্লিতে লিভ-ইন পার্টনার শ্রদ্ধা ওয়াকারকে খুন করে কুপিয়ে দেহ ৩৫ টুকরো করে মেহরৌলির জঙ্গলে ফেলে দিয়েছিল প্রেমিক আফতাব আমিন পুনাওয়ালা। উত্তরপ্রদেশের এই ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটেছে। আজমড়েও প্রায় একই রকম ঘটনা ঘটেছে। প্রাক্তন প্রেমিকাকে মেরে দেহ ৬ টুকরো করেছে প্রেমিক। বাংলার বারুইপুরে নিজের বাবাকে কুপিয়ে দেহ পাঁচ টুকরো করে পুকুরে ও জঙ্গলে দেহাংশ ফেলে দিয়ে এসেছে ছেলে। এবার ঘটনাস্থল মধ্যপ্রদেশ ।
পুলিশ জানিয়েছে, গত ১৪ নভেম্বর মধ্যপ্রদেশের শাহাদোলে
১৫ নভেম্বর শাহাদোলে রাম কিশোরের বাড়ির কাছাকাছি জঙ্গল এলাকায় তল্লাশি চালাতে গিয়ে রক্তে ভেজা মহিলাদের জামা-কাপড় খুঁজে পায় পুলিশ। তন্ন তন্ন করে সেই জায়গা খুঁজে মাটির নীচে এক মহিলার কাটা মাথা খুঁজে পান তদন্তকারীরা। সেই জায়গা থেকেই কয়েকহাত দূরে পাওয়া যায় মুণ্ডু কাটা ধর। মাথা ও ধর থেকে দেহের বাকি অংশ উদ্ধার করে পুলিশ। সেই জায়গা থেকে নমুনাও সংগ্রহ করে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞের দল। মুণ্ডুটা সরস্বতীর বলেই চিহ্নিত করে তাঁর পরিবারের লোকেরা।
পুলিশ সুপার কুমার প্রতীক বলেছেন, নরসিংহপুরের কারেলি থেকে খোঁজ মেলে সরস্বতীর স্বামী রাম কিশোরের। পুলিশি জেরায় সে খুনের কথা স্বীকার করেছে। পুলিশকে রাম কিশোর জানিয়েছে, স্ত্রীর অন্য কোনও পুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল বলে সন্দেহ করত সে। সেই সন্দেহের বশেই স্ত্রীকে খুন করে দেহ দু’টুকরো করে কেটে ফেলে। তারপর জঙ্গলে গিয়ে দেহাংশ দুটো পুঁতে দেয়। খুনে ব্যবহৃত কুঠারও উদ্ধার হয়েছে।