ঢাকা, ১৯ নভেম্বর– নিষিদ্ধ সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি) এবং হিজবুত তাহরীরের ছয় জঙ্গি সহ ২০০ জঙ্গিকে খুঁজছে বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
সম্প্রতি যৌথ অভিযানে জামায়াত-ই-ইসলাম প্রধানের ছেলে এবং তিন কেএনএফ সদস্যসহ সাত জঙ্গিকে অস্ত্রসহ গ্রেফতার করার পর এই ব্যবস্থা নিয়েছে শেখ হাসিনা সরকার ।
জানা গেছে, সম্প্রতি বাংলাদেশের মারাত্মক আকার ধারণ করেছে জঙ্গি সংগঠনগুলোর তৎপরতা। তাদের বৃদ্ধিও চোখে পড়ার মত। ইতিমধ্যেই র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) সরকার জানতে পেরেছে নিষিদ্ধ সংগঠনগুলো দেশে নাশকতা ছড়াতে ব্লুপ্ৰিন্ট তৈরি করছে।
র্যাব কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেফতার হওয়া বেশ কয়েকজন জঙ্গির স্বীকারোক্তির পরই এই ছকের কথা প্রকাশ্যে আসে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিট (এটিইউ) হিযবুত তাহরীরের ছয় সন্দেহভাজন নেতাকে গ্রেপ্তার করতে জনগণের সহায়তা চেয়েছে।
এর আগে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও কয়েকজন শীর্ষ জঙ্গি কিংপিনের ছবি প্রকাশ করে লাখ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করে। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তাদের ধরতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এদের মধ্যে বরখাস্ত মেজর জিয়া এখনও পলাতক রয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, তারা তার অবস্থান খুঁজে বের করতে পারেনি।
এদিকে, ডিএমপি জঙ্গি হামলা ও ব্লগারদের হত্যার জন্য সন্দেহভাজন দুই প্রধান জঙ্গি সংগঠক এবং নিষিদ্ধ ইসলামী সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের (এবিটি) চার সদস্যের ছবিও প্রকাশ করেছে এবং তাদের জন্য পুরস্কার ঘোষণা করেছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাম্প্রতিক ব্যাপক জঙ্গিবিরোধী অভিযানের পরিপ্রেক্ষিতে এই জঙ্গিরা গা ঢাকা দিয়েছে বলে জানা গেছে।
গোয়েন্দা সূত্র জানায়, জঙ্গি ও তাদের কিংপিংদের ধরতে তারা দেশের পার্বত্য অঞ্চলের বিভিন্ন দুর্গম ও দুর্গম এলাকায় ব্যাপক অভিযান চালায়।
র্যাব জানায়, গ্রেফতার এড়াতে জঙ্গিরা অস্ত্র প্রশিক্ষণের জন্য পাহাড়ি অঞ্চলে নিয়ে গেছে। এলিট ফোর্সের তথ্য অনুযায়ী, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ৫০ জনের বেশি জঙ্গি এখন বান্দরবান ও রাঙ্গামাটির প্রত্যন্ত অঞ্চলে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) কয়েকটি প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে।