• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

১ জুন নয়, মৌসম ভবনের পূর্বাভাস কেরলে বর্ষা ঢুকবে ৪ জুন  

দিল্লি,১৬ মে – এবছর কেরলে দেরিতে ঢুকবে বর্ষা। আবহবিজ্ঞানীদের অনুমান, সম্ভবত ৪ জুন নাগাদ দক্ষিণের এই রাজ্যে বর্ষার ঢুকতে পারে । সাধারণভাবে ১ জুন কেরলে বর্ষার প্রবেশ ঘটে। তবে এবছর বর্ষার প্রবেশে খানিকটা দেরি হতে পারে বলে মনে করছে মৌসম ভবন । তবে কি বাংলাতেও এবার বর্ষা দেরিতে আসবে ? এব্যাপারে অবশ্য স্পষ্ট কোন তথ্য এখনই দিতে পারেনি

দিল্লি,১৬ মে – এবছর কেরলে দেরিতে ঢুকবে বর্ষা। আবহবিজ্ঞানীদের অনুমান, সম্ভবত ৪ জুন নাগাদ দক্ষিণের এই রাজ্যে বর্ষার ঢুকতে পারে । সাধারণভাবে ১ জুন কেরলে বর্ষার প্রবেশ ঘটে। তবে এবছর বর্ষার প্রবেশে খানিকটা দেরি হতে পারে বলে মনে করছে মৌসম ভবন । তবে কি বাংলাতেও এবার বর্ষা দেরিতে আসবে ? এব্যাপারে অবশ্য স্পষ্ট কোন তথ্য এখনই দিতে পারেনি আবহাওয়া দফতর।

মঙ্গলবার মৌসম ভবনের তরফে জানানো হয়, এবছর আগামী ৪ জুন দক্ষিণের রাজ্য কেরলে বর্ষা প্রবেশ করবে। কেরলে বর্ষা ঢোকার সাত দিনের মধ্যেই বাংলাতেও বর্ষার আগমন ঘটে। তার আগে শুরু হয়ে যায় প্রাক-বর্ষার বৃষ্টি। কেরল হয়েই এ রাজ্যে ঢোকে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু, যার প্রভাবে বৃষ্টি হয়। তবে এবার কেরলেই বর্ষার দেরিতে ঢোকার পূর্বাভাসে বঙ্গেও উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।

তবে এ রাজ্যে কবে বর্ষা ঢুকবে তার  দিনক্ষণ সম্পর্কে এখনও স্পষ্ট কোনও পূর্বাভাস দেয়নি আবহাওয়া দফতর। মৌসম ভবনের তরফেও বাংলায় কবে বর্ষা ঢুকতে পারে সেব্যাপারে কোনও আভাস দেওয়া হয়নি। তবে আবহাওয়াবিদদের একাংশের আশঙ্কা, কেরলে বর্ষার দেরিতে আগমন ঘটলে এরাজ্যেও তার প্রভাব পড়তে পারে। এবছর বাংলাতেও বর্ষার প্রবেশ দিন কয়েক পিছিয়ে যেতে পারে বলে তাঁদের ধারণা।

তবে কেরলে বর্ষা ঢুকতে দেরি হলে যে বাংলাতেও যে দেরি হবে, এমন কোনও সরাসরি সম্পর্ক নেই বলেও জানাচ্ছেন আবহবিদরা .  বাংলায় সাধারণত বর্ষা ঢোকার সময় ১১ জুনের মধ্যে। এখনও পর্যন্ত আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, আগামী ৭ জুন জলপাইগুড়ি, ৮ জুন শিলিগুড়ি, ১০ জুন সুন্দরবন এবং ১১ জুন কলকাতায় বর্ষা ঢুকতে পারে। তবে সেই সময় দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু কতটা সক্রিয় থাকে, তার উপরই বর্ষা ঢোকার বিষয়টি নির্ভর করছেষ ফলে এবার কবে বাংলায় বর্ষা ঢোকে, সেটাই দেখার।  

এদিকে নিম্নচাপ অক্ষরেখার প্রভাবে বৃষ্টির অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বঙ্গে। আগামী ৬ দিন ধরে সেই প্রভাব জারি থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। সোমবার থেকে শনিবার পর্যন্ত হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে রাজ্যে। বিহার থেকে ওডিশা পর্যন্ত তৈরি হয়েছে নিম্নচাপ অক্ষরেখা। বঙ্গোপসাগর থেকে আসতে শুরু করেছে প্রচুর জলীয় বাষ্প।

সোমবার থেকেই বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি শুরু হলেও সেই পরিমাণ বাড়তে পারে বৃহস্পতি, শুক্র ও শনিবারে। ওই তিনদিন ঝড়-বৃষ্টিরও সম্ভাবনা রয়েছে দক্ষিণবঙ্গে। ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। বৃহস্পতিবার ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা, পূর্ব বর্ধমান, নদিয়া, মুর্শিদাবাদে। বৃষ্টির সময় বজ্রপাত হওয়ার সম্ভাবনা আগের তুলনায় বেড়ে যাওয়ায় বজ্রপাত নিয়ে বিশেষ সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর।

রবিবার মায়ানমারের কার্যত তাণ্ডব চালায় ঘূর্ণিঝড় ‘মোকা’। আপাতত নিম্নচাপ হিসেবে অবস্থান করছে সেই ঘূর্ণিঝড়। ঝড়ের তাণ্ডব কিছুটা কমলেও ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টিও চলছে মায়ানমারে। ‘মোকা’-র  জেরেই সোমবার থেকে কলকাতা সহ সমগ্র বাংলার তাপমাত্রার বাড়ার পূর্বাভাস দেওয়া হয়। মঙ্গলবার দুই বর্ধমান, বীরভূম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়ায় তাপপ্রবাহের্ পূর্বাভাস ছিল। তবে নিম্নচাপ অক্ষরেখার জেরে বৃষ্টি হলে তাপপ্রবাহ কিছুটা কমবে বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা।