দিল্লি, ২২ সেপ্টেম্বর– কংগ্রেসের সঙ্গে নাকি ফের এক হতে রাজি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। কারণটা অবশ্যই জাতীয় রাজনীতির স্বার্থ। এমনটাই দাবি এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পওয়ারের। তিনি দাবি করেছেন, পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেসের নেতাদের ভূমিকায় তৃণমূলের অনেকেই অসন্তুষ্ট। কিন্তু মমতা বৃহত্তর বিরোধী ঐক্যের কথা ভেবে সেসব ভুলে যেতে রাজি আছেন।
এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পওয়ার দিল্লিতে সাংবাদিকদের বলেছেন,”মমতা নিজে আমাকে বলেছেন, তাঁর দল জাতীয় স্বার্থে কংগ্রেসের সঙ্গে কাজ করতে রাজি। বিজেপিকে কঠিন লড়াই দেওয়াই তাঁর মূল লক্ষ্য।” পওয়ার জানান, বাংলার নির্বাচনে প্রদেশ কংগ্রেসের ভূমিকায় তৃণমূলের অনেকেই অসন্তুষ্ট ছিলেন। কিন্তু জাতীয় রাজনীতির স্বার্থে তৃণমূল সব ভুলতে রাজি।
প্রথম থেকেই তৃণমূল অন্যান্য আঞ্চলিক শক্তিকে একত্রিত করে বিজেপি বিরোধী জোট গড়তে আগ্রহ তৃণমূল। সম্প্রতি একাধিক ক্ষেত্রে কংগ্রেসের সঙ্গে একমঞ্চে যেতে পরিষ্কার না করে দিয়েছে তৃণমূল । বিরোধীদের সমবেত ফোরামগুলিতে সেভাবে দেখা যাচ্ছে না এরাজ্যের শাসকদলকে। এমনকী সংসদের ভিতরেও সেভাবে কংগ্রেসের সঙ্গে বোঝাপড়া চোখে পড়েনি। বরং, তৃণমূল নেতারা বিজেপিকে হারাতে না পারার ব্যর্থতা নিয়ে কংগ্রেসকেই লাগাতার নিশানা করে আসছেন। পালটা আসছে কংগ্রেসের তরফেও। সব মিলিয়ে তৃণমূল এবং কংগ্রেসের সম্পর্ক এখন তলানিতে। তবে শরদ পওয়ারের দাবি, কংগ্রেসের সঙ্গের এই মতানৈক্য মিটিয়ে নিতে রাজি মমতা।
বস্তুত, ২০২১ সালে বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল সাফল্যের পরই কেন্দ্র থেকে বিজেপিকে হঠাতে বৃহত্তর বিরোধী জোটের পক্ষে সওয়াল করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজেই উদ্যোগ নিয়ে সারা দেশের বিরোধী শক্তিগুলিকে এক ছাতায় আনতে সচেষ্ট হন তৃণমূল নেত্রী। দিল্লিতে গিয়ে কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধির সঙ্গে দেখা করেন তিনি। কথা হয় রাহুলের সঙ্গেও। কিন্তু তৃণমূলের অভিযোগ, মমতার সে উদ্যোগে সেভাবে সাড়া মেলেনি কংগ্রেসের তরফে। তাই বাধ্যত নিজেদের মতো করে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করতে হচ্ছে তাঁদের।