কেজরির বৈঠকে আমন্ত্রিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

দিল্লি, ১৩ মার্চ– বিজেপি-বিরোধী বিভিন্ন দলকে এক মঞ্চে আনার জন্য বহুদিন ধরেই সওয়াল করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলির অপব্যবহার নিয়েও তিনি প্রথম থেকে সরব হয়েছিলেন। তাঁর দেখানো পথে বিরোধী ঐক্য মজবুত করার তোড়জোড় আগেই শুরু হয়ে গিয়েছিল। এবার তা আরও শক্তিশালী করার প্রক্রিয়া চলছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ‘অপব্যবহার’ ইস্যুকে সামনে রেখেই খুব শীঘ্র বিরোধী শিবিরের তাবড় তাবড় নেতারা বৈঠকে বসতে পারেন।

শোনা যাচ্ছে, এই বৈঠকের মূল উদ্যোক্তা আম আদমি পার্টির প্রধান তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল । চলতি সপ্তাহের শেষ দিকে তিনি বিরোধী শিবিরের বিভিন্ন দলের প্রধানদের বৈঠকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। আমন্ত্রিত তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকে ডাকা হয়েছে সমাজবাদী পার্টি, আরজেডি, এনসিপি, বাম-সহ নয়টি দলকেও। দিল্লির কনস্টিটিউশন ক্লাবে এই বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে।

কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার তদন্তকারী সংস্থাগুলির অপব্যবহার করে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করছে। এই মর্মে সম্প্রতি আটটি বিরোধী দলের ন’জন নেতানেত্রী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখে অভিযোগও জানিয়েছেন। তারপরেও আরজেডি তেজস্বী যাদবের বাড়ি তল্লাশি হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়াকে। বিআরএস নেত্রী কে কবিতাকে টানা জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি।


পালটা বিজেপির তরফে বিরোধী শাসিত রাজ্যে গিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে দুর্নীতি ইস্যুতে আক্রমণের পরিকল্পনা করা হয়েছে। তাতে ভয় না পেয়ে বিজেপিকে কোণঠাসা করতে বিকল্প সমস্ত কৌশল নিয়ে কেজরির ডাকা বৈঠকে আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে বলেই সূত্রের খবর। সোমবার থেকে শুরু হতে চলা সংসদের বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্বে ও সংসদের বাইরেও বিষয়টি নিয়ে বিরোধীরা একেজাট হয়েই মোদি সরকারকে আক্রমণ করতে চাইছে।

এদিকে, অধিবেশন শুরুর আগে রবিবার নিজের বাসভবনে বিভিন্ন দলের নেতাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন উপরাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনকড়। কিন্তু ওই বৈঠকে যায়নি তৃণমূল কংগ্রেস। ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশ, রাজ্যসভার দলনেতা পীযূষ গোয়েল, বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে, জয়রাম রমেশ, বীরেন্দ্রপ্রসাদ বৈশ্য, সঞ্জয় রাউত, রামগোপাল যাদব, সঞ্জয় সিং, কে কেশব রাও, বিনয় বিশ্বম-সহ বেশ কয়েকটি বিরোধী দলের নেতা উপস্থিত ছিলেন।