কলকাতা , ১৩ মে -ক্রমশ শক্তি বাড়িয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে ‘মোকা’। যদিও সরাসরি বাংলায় তার প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা খুবই কম। তবে এর প্রভাবে আগামী ২৪ ঘণ্টায় বাংলার উপকূলবর্তী এলাকায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে সপ্তাহের্ শেষে দাবদাহ থেকে কিছুটা স্বস্তি মিলবে। সোমবার থেকে ফের তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে ।
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, ‘মোকা’ ক্রমশ উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হচ্ছে। রবিবার দুপুরে মায়ানমারের সিতওয়ে বন্দরের কাছাকাছি আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড়। বাংলাদেশের কক্সবাজার, মহেশখালি, টেকনাফ সেন্ট, মার্টিন দ্বীপ এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে ।
সরাসরি প্রভাব না পড়লেও বাংলায় ‘মোকা’ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। শনিবার থেকে কলকাতা-সহ হাওড়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, নদিয়ায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। সঙ্গে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে দমকা বাতাস বইতে পারে। রবিবার উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর ও নদিয়ায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা। রবিবার পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
সোমবার পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান ও বীরভূমে তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে । তবে উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, নদিয়া এবং মুর্শিদাবাদে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে। মঙ্গলবার বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, নদিয়া এবং মুর্শিদাবাদে। মঙ্গলবার পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম,পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামে তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করেছে হাওয়া অফিস। উত্তরবঙ্গের সব জেলাতেই সোমবার থেকে বৃষ্টির সম্ভাবনা।
রবিবার বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ স্থলভূমিতে আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড়। ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাব্য সর্বোচ্চ গতিবেগ হবে ঘণ্টায় ১৫০ থেকে ১৬০ কিলোমিটার। আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, মায়ানমারেই মোকার মূল প্রভাব পড়বে। তবে মোকা বয়ে যাওয়ার সময় বাংলাদেশের একাধিক জায়গায় তার প্রভাব পড়তে পারে। তখন ঝড়ের গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটার।
আগাম সতর্কতা হিসাবে শনিবার সকাল থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবনের উপকূল থানাগুলিতে মাইকে প্রচার শুরু হয়। সকাল থেকে কুলতলি থানার কৈখালী, মাতলা নদীতে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর তরফে মকড্রিল হয়। কুলতলি ব্লক প্রশাসনের তরফে ইতিমধ্যে শুকনো খাবার, ত্রিপল মজুত করা হয়েছে বলে খবর। সুন্দরবনের প্রতিটি এলাকায় বিশেষ নজরদারি রয়েছে প্রশাসনের ।