মোহন যাদবই মধ্যপ্রদেশের কুর্সিতে

ভোপাল, ১১ ডিসেম্বর– নতুন মুখেই ভরসা রাখল পদ্ম শিবির৷ মশিবরাজ সিং চৌহানের মতো হেভিওয়েট নেতাকে সরিয়ে মধ্যপ্রদেশে মোহন যাদবকে মুখ্যমন্ত্রী করতে চলেছে বিজেপি হাই কমান্ড৷ দীর্ঘ জল্পনার পর, অবশেষে সামনে এল মধ্য প্রদেশের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রীর নাম৷ সোমবার বিকেলে বিজেপির পর্যবেক্ষকরা জানালেন, রাজ্যের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন বিজেপি নেতা মোহন যাদব৷ উজ্জয়িনী দক্ষিণ কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছেন তিনি৷ ফলে, শিবরাজ সিং চৌহানের স্থানে শীঘ্রই রাজ্যের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন তিনি৷ হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টর-সহ ভারতীয় জনতা পার্টির পর্যবেক্ষকরা সোমবার সকালেই ভোপালে পৌঁছেছিলেন৷ দলের নবনির্বাচিত বিধায়কদের সঙ্গে তাঁরা এক বৈঠক করেন৷ বৈঠকেই মধ্য প্রদেশের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী নির্ধারণ করা হয়৷ একইভাবে মঙ্গলবার রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীর নাম জানা যাবে৷
সোমবার সকাল সকাল রাজধানী ভোপালে মধ্যপ্রদেশ বিজেপির দফতরে দলের বিধায়কদের নিয়ে বৈঠকে বসেন তিন কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক— হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টর, রাজ্যসভা সাংসদ কে লক্ষ্মণ এবং ঝাড়খণ্ডের রাঁচীর মেয়র তথা দলের জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য আশা লারকা৷ বিজেপির একটি সূত্র জানাচ্ছে, বিধায়কদের সঙ্গে ওই বৈঠকের শেষে সন্ধ্যা ৫টা নাগাদ মধ্যপ্রদেশের নয়া মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করা হয়৷ আর সেখানেই বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহানকে সরিয়ে এ বার ভোপালের কুর্সিতে মোহন যাদবের নাম ঘোষণা করা হয়৷ এর আগে সদ্য বিধানসভা ভোটে জয়ী দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নরেন্দ্র সিংহ তোমর, প্রহ্লাদ পটেল এবং দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয়ের নাম নিয়ে শুরু হয়েছিল প্রবল জল্পনা৷ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য শিন্ডে, দলের রাজ্য সভাপতি বিষ্ণুদত্ত শর্মার নামও ছিল তালিকায়৷
তবে যখন একদিকে চলছে পর্যবেক্ষদের বৈঠক সেই সমিয় বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজের দফতরের তরফে সমাজমাধ্যমে করা একটি পোস্ট মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তাঁর বিদায়ের জল্পনা আরও বাড়িয়ে দেয়৷ সেখানে যায়, তাঁর হাতজোড় করা একটি ছবির তলায় লেখা, ‘সকলকে রাম-রাম’! যা শিবরাজের বিদায়বার্তা বলেই ইঙ্গিত ছিল রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের৷ সোমবার বিজেপি বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠকের আগে আলাদা ভাবে শিবরাজের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন খট্টরেরা৷
এ বারের বিধানসভা ভোটে মধ্যপ্রদেশের ২৩০টি আসনের মধ্যে বিজেপি পেয়েছে ১৬৩টি আসন৷ গত বারের চেয়ে ৫৪টি বেশি৷ মোট ভোটের প্রায় ৪৯ শতাংশ৷ যা ২০০৩ সালের চেয়ে প্রায় পাঁচ শতাংশ বেশি৷ অন্য দিকে, ৬৬টি আসনে জেতা কংগ্রেস ভোট পেয়েছে প্রায় ৪১ শতাংশের কাছাকাছি৷ আট শতাংশের ওই ভোটের পার্থক্যে কংগ্রেসের চেয়ে ৯৭টি আসন বেশি জিতেছে বিজেপি৷