হেফাজতে ৮০ মৃত্যু নিয়ে রাজ্যে প্রথম স্থানে মোদির রাজ্য 

ভাডোদারা, ১৩ ফেব্রুয়ারি– গুজরাতে গত পাঁচ বছরে দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বন্দির মৃত্যু হয়েছে। সংখ্যাটা ৮০।

মানবাধিকার রক্ষার আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের মতে যা খুবই উদ্বেগজনক। মৃতরা বিভিন্ন অপরাধে থানা অথবা জেলে আটক ছিল। তাঁদের বক্তব্য, গুজরাতে থানায় ও জেলে বন্দিদের উপর অত্যাচারের ঘটনা দিন দিন বাড়ছে। মানিবাধিকার সংগঠনগুলি জাতীয় স্তরেও গুজরাত সরকারের বিরুদ্ধে এই ব্যাপারে সরব হয়েছে। অত্যাচারের পাশাপাশি আছে পর্যাপ্ত খাবার এবং চিকিৎসার অভাব।

আজ রাজ্যসভায় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই হেফাজতে মৃত্যু নিয়ে নানা তথ্য জানান। ওই তালিকায়
দ্বিতীয় স্থানে আছে মহারাষ্ট্র। ওই রাজ্যে ৭৬ জন মারা গেছে জেল অথবা পুলিশের হেফাজতে থাকার সময়।


বড় রাজ্য এবং প্রশাসনের মানবাধিকার বিরোধী আচরণের কারণে উত্তরপ্রদেশ বরাবর এই তালিকায় এক নম্বরে থাকত। গত পাঁচ বছরে ওই রাজ্যে হেফাজতে মৃত্যুর সংখ্যা গুজরাতের অর্ধেক, ৪১ জন। তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে আছে যথাক্রমে তামিলনাড়ু-৪০ এবং বিহার-৩৮।

দেশে ২০১৭- র ১ এপ্রিল থেকে ২০২২ এর ৩১ মার্চ পর্যন্ত হেফাজতে মৃত্যুর পরিসংখ্যান আজ রাজ্যসভায় পেশ করেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।

তিনি রাজ্যসভাকে সোমবার আরও জানিয়েছেন, পুলিশ হেফাজতে মোট ১৪৬ মারা গিয়েছেন। ২০২১-‘২২ আর্থিক বছরে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৭৫। একাধিক ক্ষেত্রে মানবাধিকার কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে মৃতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে।

উত্তরপ্রদেশে হেফাজতে মৃত্যুতে লাগাম পরানো গেলেও সেখানে আবার সংঘর্ষে মৃত্যুর ঘটনা যথেষ্ট। বিচারের আগে সংঘর্ষের নামে ধৃতদের মেরে ফেলা হচ্ছে বলে অভিযোগ মৃতের পরিবার ও মানবাধিকার সংগঠনগুলির।