দিল্লি, ৩ জুলাই-– মোদির সভাপতিত্বে চিন , পাকিস্তান, রাশিয়া ছাড়াও একাধিক দেশ যোগ দেবে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন শীর্ষ বৈঠকে। ৪ জুলাই এসসিও সম্মেলনের আয়োজন। বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে খবর, এসসিও-র ২২ তম শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবে চীন এবং পাকিস্তান। শেহবাজ শরীফ, শি জিনপিং , পুতিন অংশ নেবেন মোদির সভাপতিত্বে আয়োজিত ভার্চুয়াল এই সম্মেলনে।
ইউক্রেন যুদ্ধ, লাদাখে সীমান্ত সংঘাত এবং আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদ- এ সবের মাঝেই বৈঠকে বসতে চলেছে শাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন । এসসিও-র সদস্য দেশগুলির পাশাপাশি ইরান, বেলারুশ, এবং মঙ্গোলিয়াকে পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
ওয়াগনার বিদ্রোহের পর এই প্রথম এসসিও সামিটের মতো কোনও আন্তর্জাতিক মঞ্চে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন অংশ নেবেন। অন্যদিকে, এই সামিটে নতুন সদস্য দেশ হিসাবে ইরানকে স্বাগত জানাবে ভারত। শাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনের নতুন স্থায়ী সদস্য পদ পেয়েছে ইরান। এই অধিবেশনে একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। যার মধ্যে রয়েছে তালিবানি শাসনে জর্জরিত আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি। আলোচনা করা হবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়েও। উঠে আসতে পারে আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদের প্রসঙ্গও।
এছাড়া, গত তিন বছর ধরে লাদাখ সীমান্তে ভারত ও চিনের মধ্যে চাপানউতোর চলছে। যে কোনও সময়ে সংঘাতে জড়াতে পারে দুই দেশ। চিনকে সম্প্রতি কড়া বার্তা দিয়েছে ন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই আবহে মঙ্গলবার মুখোমুখি হতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদি ও শি জিনপিং। দুই প্রধানের মধ্যে কী আলোচনা হবে তার দিকে নজর থাকবে সব মহলের।
এই অধিবেশনে মূলত পাঁচটি বিষয়ের উপর বিশেষ নজর দেওয়া হবে। এগুলি হচ্ছে- স্টার্টআপ ও বিভিন্ন গবেষণার উন্নতি, প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতিতে জোর দেওয়া, ডিজিটাল সম্প্রসারণ, যুব সমাজকে ক্ষমতায়ন এবং বুদ্ধের নীতি আদর্শকে তুলে ধরা। সব মিলিয়ে এই এসসিও সামিট ভারতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।
প্রসঙ্গত, ২০০১ সালে শাংহাইতে এসসিও গঠন হয়। সদস্য- রাশিয়া, চিন, কাজাখস্তান ও কিরঘিজস্তান। ২০১৭ সালে যুক্ত হয় ভারত ও পাকিস্তান। গতবছরের সেপ্টেম্বরে এক বছরের জন্য সমরকন্দ সামিটে সংগঠনটির চেয়ারম্যান পদে বসে ভারত। আগামিকাল এই সামিটের নেতৃত্ব দেবে ভারত।
৪ জুলাই হতে চলা এই এসসিও রাষ্ট্রপ্রধানদের তেইশতম বৈঠকে ভারচুয়ালি অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। বর্তমানে চরম অর্থনৈতিক সংকটে ভুগছে পাকিস্তান। বিদেশি মুদ্রার ভাঁড়ার প্রায় শূন্য। তাই অন্যান্য দেশের সঙ্গে বৈঠক পাকিস্তানের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।