কেন্দ্রীয় কর্মীদের জন্য খারাপ খবর, বেতন কমিশন না গড়ার পথে মোদি সরকার 

দিল্লি, ১ ডিসেম্বর– কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারিদের এবার খুশি রাখার কোন ইচ্ছাই নেয় মোদি সরকারের৷ ভোটের মুখে এবার বেতন কমিশন না গড়ার সিদ্ধান্ত জানাল কেন্দ্র, যাতে আশহত কেন্দ্রীয় সরকারের ৫৪ লাখ কর্মচারী৷ মোদি সরকারের অর্থ সচিব শুক্রবার জানালেন, কর্মচারী, অফিসারদের জন্য অষ্টম বেতন কমিশন গড়ার কোনও পরিকল্পনা নেই কেন্দ্র সরকারের৷ হিসাব মতো চলতি বছরে বেতন কাঠামো সময়োপযোগী করতে নতুন কমিশন গড়ার কথা৷ কিন্ত্ত অর্থ সচিব টিভি সোমনাথন জানিয়েছেন, সরকারের এমন কোনও পরিকল্পনা নেই৷
তবে সরকারি কর্মচারিদের খুশি করলেই যে গতি বাঁচবে এমন তথ্য মানতে নারাজ মোদি সরকার৷ তারা ২০১৩ সালে ইউপিএ সরকারের উদাহরণ টেনে বলছে, সপ্তম বেতন কমিশ গডে়ও কি ইউপিএ সরকার টিকে থাকতে পেরেছিল? তবে এখন যেটা দেখার বিষয় কেন্দ্র কমিশন না গড়লে রাজ্যগুলিও নিজেদের কর্মচারীদের জন্য গড়ে কিনা৷ কারণ কেন্দ্রের দেখানো পথে হেঁটেই রাজ্যগুলি তাদের সরকারি কর্মচারিদের জন্য কমিশন গড়ে৷
ওয়াকিবহাল মহল অবশ্য মনে করছে, এই ঘোষণা খুব অপ্রত্যাশিত ছিল না৷ কারণ, বিগত বেতন কমিশন বেতন কাঠামোর যে নয়া নিয়ম তৈরি করে দিয়েছে, তাতে দশ বছর পর পর পরিবর্তন জরুরি নয়৷ কেন্দ্রীয় কর্মীদের বছরে দু’বার বেতন বৃদ্ধির ফলে মাইনের অঙ্ক এখন বেশ ভাল৷ তারপরেও বেতন কমিশন না গড়ার সিদ্ধান্ত কর্মচারীদের জন্য খারাপ খবর৷
———
গ্রেফতার হবেন ভেবেই কেজরির পদত্যাগ নাকি জেল থেকে কাজ  জনতার মত জানতে পথে আপ
দিল্লি, ১ ডিসেম্বর– আম আদমি পার্টি ধরেই নিয়েছে যেকোন মুহুতে গ্রেফতার হতে পারেন দলের সুপ্রিমো তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজিওয়াল৷ তাই আগেই তৈরি হয়ে পথে নেমে পড়েছে দল৷ কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করা হলে সরকার চালাবেন কে? আপ সুপ্রিমোর কি পদত্যাগ করা উচিত নাকি জেল থেকেই সরকার চালাবেন? এমন প্রশ্ন নিয়ে শুক্রবার থেকে দিল্লির ২৬০০ বুথে সই সংগ্রহ অভিযান নামছে আম আদমি পার্টি৷ দলের কর্মীরা প্রতিটি বুথে শিবির খুলে বসেছেন শুক্রবার৷
এই বিশেষ সই সংগ্রহ অভিযানের জন্য কর্মীরা ‘ম্যায় হুঁ কেজরিওয়াল’ লেখা গেঞ্জি পরবেন৷ শুক্রবার থেকে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত বুথে বুথে সই সংগ্রহের পর ২১ থেকে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত হবে পাড়া সভা৷ রাজধানীর মদ কাণ্ডে নাম জডি়য়েছে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর৷ উপ মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া ছিলেন আবগারি দফতরের ভারপ্রাপ্ত৷ গত বছর সিবিআই তাঁকে গ্রেফতার করে৷ দু’মাস আগে একই মামলায় ইডি গ্রেফতার করে আপ সাংসদ সঞ্জয় সিংকে৷ গত মাসে ইডি দ্বিতীয়বার তলব করে কেজরিওয়ালকে৷ পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটের প্রচারে ব্যস্ততার কথা বলে ইডির কাছে যাননি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী৷ সেই সঙ্গে কেজরিওয়াল ও তাঁর পার্টি লাগাতার প্রচার করে চলেছে, বিজেপির ষড়যন্ত্রের শিকার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী৷ ইডি-সিবিআই তাঁকে গ্রেফতার করতে চায়৷ এই ইসু্যতে আপ সম্ভাব্য গ্রেফতারের আগেই লোকসভা ভোটের অঙ্কে হাওয়া গরম করতে নেমে পডে়ছে৷
মদ কাণ্ডে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী গ্রেফতার হলে বিরোধীরা দুর্নীতিবাজদের জোট গডে়ছে বলে মোদির প্রচার শক্তিশালী হবে৷ সেই প্রচারের মোকাবিলায় ইডি-সিবিআইয়ের অপব্যবহারের অভিযোগকে জোরদার করতে চাইছে আপ৷
চারদিন ধরে দল দিল্লি জুড়ে মদ কাণ্ড কী, কীভাবে ইডি, সিবিআই বিজেপির ইশারায় আপ নেতাদের ফাঁসিয়েছে, সেই প্রচার করবে৷ যদিও আপের বক্তব্য নিয়ে নানা মহল থেকে প্রশ্ন উঠেছে৷ গ্রেফতার হলে কেজরিওয়াল কীভাবে জেল থেকে মুখ্যমন্ত্রিত্ব করতে পারেন কারও কাছেই বোধগম্য হচ্ছে না৷ ওয়াকিবহাল মহল মনে করছেন, গ্রেফতারের সম্ভাবনাকে সামনে রেখে কেজরিওয়াল বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ঘুঁটি সাজাচ্ছেন৷