• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

রোজগার মেলাকে হাতিয়ার করে ডবল ইঞ্জিন সরকারের ডবল সুবিধা’ গোনালেন মোদি

দিল্লি, ২২ নভেম্বর– গুজরাটে ভোটের মুখে ফের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মুখে ডবল ইঞ্জিন সরকারের জয়গান।কেন্দ্রে এবং রাজ্যে একসঙ্গে বিজেপির সরকার আছে বলেই রোজগার মেলার মাধ্যমে বেকারদের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হচ্ছে। রোজগার মেলায় ৭১ হাজারকে নিয়োগপত্র তুলে দিয়ে এমনটাই বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।  আসলে আর পাঁচটা বিধানসভা নির্বাচনের মতো গুজরাট নির্বাচনেও ‘ডবল ইঞ্জিন’ সরকার তত্ত্বকে সামনে

দিল্লি, ২২ নভেম্বর– গুজরাটে ভোটের মুখে ফের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মুখে ডবল ইঞ্জিন সরকারের জয়গান।কেন্দ্রে এবং রাজ্যে একসঙ্গে বিজেপির সরকার আছে বলেই রোজগার মেলার মাধ্যমে বেকারদের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হচ্ছে। রোজগার মেলায় ৭১ হাজারকে নিয়োগপত্র তুলে দিয়ে এমনটাই বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। 

আসলে আর পাঁচটা বিধানসভা নির্বাচনের মতো গুজরাট নির্বাচনেও ‘ডবল ইঞ্জিন’ সরকার তত্ত্বকে সামনে রেখে এগোতে চাইছে বিজেপি। সম্ভবত সেকারণেই প্রধানমন্ত্রীর মুখে ফের ডবল ইঞ্জিন সরকারের সুনাম শোনা গেল।

কিছুদিন আগে পশ্চিমবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘জব ফেয়ারে’র আয়োজন করেছিলেন। অনেকটা সেই ধাঁচেই গত ২২ অক্টোবর দিল্লিতে মোদি ‘রোজগার মেলা’র আয়োজন করেন। যাতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বেছে নেওয়া ৭৫ হাজার চাকরিপ্রার্থীকে দেওয়া হয় চাকরির নিয়োগপত্র। সেই রোজগার মেলার সূচনা করেই প্রধানমন্ত্রী দাবি করেছেন, আগামী এক বছরে সরকার ১০ লক্ষ কর্মসংস্থানের টার্গেট নিয়েছে সরকার। তারপর থেকে বিজেপি শাসিত কয়েকটি রাজ্যে একই ধাঁচের রোজগার মেলা হয়েছে।

মঙ্গলবার রোজগার মেলাকে হাতিয়ার করেছেন প্রধানমন্ত্রী। কেন্দ্রীয় স্তরের রোজগার মেলার দ্বিতীয় স্তরে আরও প্রায় ৭১ হাজার জনকে সরকারি চাকরির নিয়োগপত্র দেন মোদি। তারপরই তিনি বলেন, ‘এটাই ডবল ইঞ্জিন সরকারের ডবল সুবিধা। এবার থেকে আমরা নিয়মিতভাবে ধীরে ধীরে এভাবে নিয়োপত্র দেব।’ মোদি এদিন বুঝিয়ে দিয়েছেন, রাজ্য সরকারগুলি সহযোগিতা করছে বলেই বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে দ্রুত কর্মীদের নিয়োগপত্র দেওয়া যাচ্ছে।

দু’কোটি চাকরির প্রতিশ্রুতি নিয়ে আজও বিরোধীদের কটাক্ষ শুনতে হয় তাঁকে। নিন্দুকেরা বারবার বলে থাকেন, রোজগার, অর্থনীতির মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে ভাবেন না প্রধানমন্ত্রী। তিনি বরং ব্যস্ত থাকেন জাতপাত আর বিভাজনের রাজনীতিতে। মোদি সম্ভবত সেসব কটাক্ষের জবাব দিতেই এবার মাঠে নামছেন। গুজরাট ভোটের ঠিক আগে মোদির জব ফেয়ারকে অনেকেই মাস্টারস্ট্রোক বলে মনে করছেন।