• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

রামলালাকে কোলে নিয়ে ৫০০ মিটার অযোধ্যায় পেঁৗছবেন মোদি

লখনউ, ৩ নভেম্বর– অযোধ্যা রামমন্দির উদ্বোধনের তোড়জোড় চরমে৷ পাশাপাশি ২২ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর নতুন মন্দির উদ্বোধনের নানা কর্মসূচিও ঘোষণা করতে শুরু করেছে রাম মন্দির তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট৷ তারমধ্যেই শুক্রবার ট্রাস্ট ঘোষণা করল মন্দিরের যজমান অর্থাৎ পুজোর প্রধান হোতার নাম৷ তিনি আর কেউ নন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ অর্থাৎ পুজোর আয়োজনের অনেকটাই তিনি নিজে হাতে করবেন৷ তারমধ্যে অন্যতম

লখনউ, ৩ নভেম্বর– অযোধ্যা রামমন্দির উদ্বোধনের তোড়জোড় চরমে৷ পাশাপাশি ২২ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর নতুন মন্দির উদ্বোধনের নানা কর্মসূচিও ঘোষণা করতে শুরু করেছে রাম মন্দির তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট৷ তারমধ্যেই শুক্রবার ট্রাস্ট ঘোষণা করল মন্দিরের যজমান অর্থাৎ পুজোর প্রধান হোতার নাম৷ তিনি আর কেউ নন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ অর্থাৎ পুজোর আয়োজনের অনেকটাই তিনি নিজে হাতে করবেন৷ তারমধ্যে অন্যতম অস্থায়ী মন্দিরে থাকা রামলালা বা শিশু রামের মূর্তিটি প্রধানমন্ত্রী কোলে করে এনে নতুন মন্দিকের গর্ভগৃহে প্রতিষ্ঠা করবেন৷
তবে সব থেকে বড় বিষয় পুরোনো মন্দির থেকে রামললাকে কোলে করে এনে নতুন মন্দিরে স্থাপন করবেন মোদি৷ আর এই দুই মন্দিরের দূরত্ব যেহেতু প্রায় পাঁচশো মিটার৷ সেই ৫০০ মিটার কোলে রামললা নিয়ে হেঁটেই আসবেন নমো৷
গোড়ায় বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পর ধ্বংসস্তুপের উপর মন্দিরটি ছিল৷ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে নতুন মন্দির তৈরির কাজ শুরু হলে অস্থায়ী মন্দিরের স্থান বদল হয়৷ পাঁচশো মিটার দূরে নতুন করে গড়া হয় অস্থায়ী মন্দিরটি৷ এই পথ ধরে প্রধানমন্ত্রী হেঁটে অতিক্রম করবেন৷ নিরাপত্তার বিধি অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীর এতটা পথ হাঁটার কথা নয়৷ কিন্ত্ত অযোধ্যায় প্রধানমন্ত্রীই হবেন পূজার প্রধান আয়োজক৷ সেই মতো প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার বিকল্প ব্যবস্থা করা হচ্ছে৷
ট্রাস্ট জানিয়েছে, মূল রামলালর মূর্তিটা ছাড়াও আরও একটি রামমূর্তি মন্দিরে থাকবে৷ কর্নাটকের বিশেষ পাথর কেটে বড় মাপের তিনটি রামমূর্তি তৈরি করছেন রাজস্থানের শিল্পীরা৷ তারমধ্যে একটি মন্দিরে রাখা হবে৷ সেই মূর্তি বাছাই করা হবে মন্দির উদ্বোধনের দিন সকালে৷
সকাল সাডে় ১১টা থেকে সাডে় ১২টা পর্যন্ত চলবে মূল পূজা৷ তখন অল্প সময়ের জন্য মন্দিরে প্রবেশ করতে পারবেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, রাজপাল আনন্দিবেন প্যাটেল এবং আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত৷ একমাত্র প্রধানমন্ত্রী এবং বারাণসীর কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের প্রধান পুরোহিত লৎক্ষ্মীকান্ত দীক্ষিত গোটা পূজা পর্বে মন্দিরের ভিতরে থাকবেন৷ রামলালার স্নান এবং পুজোয় যাবতীয় কাজে ব্যবহার করা হবে দেশের প্রধান নদীগুলির জল৷
মন্দির উদ্বোধনের দিন ট্রাস্ট প্রায় আট হাজার জনকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে৷ তাঁদের মধ্যে রাম মন্দির আন্দোলনে শহিদ করসেবকদের পরিবার, বিভিন্ন ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় সম্মান প্রাপক, সমাজের নানাক্ষেত্রের বিশিষ্টজনেরা আছেন৷ মন্দির উদ্বোধন তথা রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠাকে সামনে রেখে অযোধ্যা নানা অনুষ্ঠান শুরু হয়ে যাবে ১৬ জানুয়ারি থেকে৷